ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হকের ওপর হামলার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২৩
বগুড়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হকের ওপর হামলার অভিযোগ

বগুড়া: নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লার ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে জিয়াউল হক মোল্লাসহ ৪ নেতাকর্মী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে কাহালু উপজেলার তিনদিঘী এলাকায় গণসংযোগ করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

তবে প্রতীক পাওয়ার আগে এমন প্রচারণার কাজকে আচরণবিধি লঙ্ঘন বলছেন নির্বাচন কর্মকর্তারা।

ডা. জিয়াউল হক মোল্লা সাবেক বিএনপি নেতা এবং বগুড়া-৪ আসনের সাবেক এমপি। তিনি কাহালু উপজেলার বাসিন্দা। তবে বর্তমানে বগুড়া শহরের মালতিনগরে বসবাস করেন জিয়াউল হক।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ডা. জিয়াউল হক মোল্লা ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে কাহালুর তিনদিঘী এলাকায় গণসংযোগ করতে যান। এ সময় ওই এলাকায় ৮-১০ জন ব্যক্তি তার গাড়িতে ইটপাটকেল ছোঁড়েন। এতে ডা. জিয়াউল হক মোল্লাসহ অন্তত চারজন আহত হন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী জিয়াউল হক মোল্লা বলেন, গণসংযোগ করার জন্য তিনদীঘি এলাকায় গেলে আমার গাড়িতে কয়েকজন ইটপাটকেল ছোঁড়েন। এতে আমিসহ চারজনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে-ফেটে গেছে।

কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, ডা. জিয়াউল হক নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন। পরে সেখানে হামলার ঘটনা ঘটে। বিএনপির লোকজনরা হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ ঘটনায় এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।

বগুড়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার মাহমুদ হাসান জানান, প্রতীক পাওয়ার আগে কেউ নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এটা নির্বাচনী আচরণবিধিমালা পরিপন্থি। ডা. জিয়াউল হক মোল্লার নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর বিষয়ে আজকে দুপুরে এক প্রার্থী অভিযোগ করেছিলেন।

এর আগে, গত ২৯ নভেম্বর বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মোল্লাকে তার নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়৷ এদিন তিনি কাহালু উপজেলা সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. মেরিনা আফরোজের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছিল। তাকে জাতীয় বেইমান আখ্যা দিয়ে এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়। এক পর্যায়ে সন্ধ্যার পর কাহালু উপজেলার নারহট্ট ইউনিয়ন ও জামগ্রাম ইউনিয়ন এবং নন্দীগ্রাম পৌর শহরে একাধিক স্থানে দলীয় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জিয়াউল হক মোল্লার কুশপুত্তলিকায় জুতা দিয়ে পেটানোর পর আগুন দেন।

উল্লেখ্য, জিয়াউল হক মোল্লার বাবা আজিজুল হক মোল্লা বগুড়া-৪ আসনের বিএনপির সংসদ সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুর পর ১৯৯৪ সালে অনুষ্ঠিত উপ-নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়ে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন ডা. জিয়াউল হক মোল্লা। এরপর তিনি ১৯৯৬ সালের ৬ষ্ঠ ও ৭ম জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনেও বিএনপির প্রার্থী হয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার ৮১৪ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন জিয়াউল হক মোল্লা।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২৩
এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।