ফেনী: ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় পারুল আক্তার (৪৭) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর বারাহিগুণির ছেরাজ মিয়ার বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পারুল আক্তার ওই বাড়ির দুবাই প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী এবং জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন চৌধুরীর ছোট বোন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নিহত পারুলের একমাত্র মেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে মাকে বারবার ফোন কল দিয়ে সাড়া না পেয়ে বাবার বাড়িতে এসে ঘরের দরজা খোলা পান। পরে ভেতরে ঢুকে ঘরের মেঝেতে মায়ের গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন।
নিহত পারুলের ভাই আবদুল মতিন চৌধুরী জানান, পারুলের স্বামী ও বড় ছেলে প্রবাসে থাকেন। ছোট ছেলে কাজের জন্য ঘটনার সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন। বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে ডাকাতি করতে আসা ডাকাতদের চেনে ফেলায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত পারুলের ছোট ছেলে তন্ময় বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আমার মাকে হত্যা করতে পারে। হত্যাকারীরা ঘরে লুটপাট করে সবকিছু নিয়ে গেছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমার মায়ের হত্যাকারীদের বিচার চাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ইমরান হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বুধবার রাত ১০টার দিকে খবর পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ প্রশাসনকে জানাই। পরে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের সব জিনিসপত্র এলোমেলো পড়ে থাকতে দেখি। একটি কক্ষের মেঝেতে পড়ে ছিল পারুলের মরদেহ। এছাড়া এলাকাটি দাগনভূঞা ও ফেনী সদরের একদম সীমান্তবর্তী হওয়ায় সম্প্রতি চুরি-ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গত ২ থেকে আড়াই বছর আগেও এ বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। ওই মামলায় যারা জামিনে রয়েছেন তাদের সঙ্গে এ ঘটনার সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা পুলিশ যাচাই-বাছাই করবে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাসিম বাংলানিউজকে বলেন, খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের কাজ চলছে।
ফেনীর পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম তদন্ত করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
এসএইচডি/আরআইএস