ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ট্রেনে নীলফামারী চলে যাওয়া রাজিবের ঠাঁই হলো শেখ রাসেল শিশু কেন্দ্রে 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
ট্রেনে নীলফামারী চলে যাওয়া রাজিবের ঠাঁই হলো শেখ রাসেল শিশু কেন্দ্রে 

নীলফামারী: রাজধানীর বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেন দেখতে গিয়ে নীলফামারী চলে আসা সাত বছরের শিশু রাজিবের ঠাঁই হয়েছে রংপুরের শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে।  

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে শিশু রাজিবকে সেখানে পাঠায় নীলফামারী সদর থানার পুলিশ।

এর আগে শনিবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে রাজিব ট্রেন দেখতে গিয়েছিল রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশনে। একপর্যায়ে ট্রেনে উঠে যায় সে। সেখানে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতেই ট্রেন ছেড়ে দিলে সে আর নামতে পারেনি। সেই ট্রেনেই চলে আসে নীলফামারীতে। পরে এক যাত্রীর সঙ্গে শিশুটি চলে যায় জেলা সদরের চাঁদের হাট বাজারে। সেখানে ঘোরাঘুরি করছিল রাজিব। স্থানীয়রা রাজিবের কাছে সব ঘটনা শুনে পুলিশকে জানালে তাকে থানায় নিয়ে যায় নীলফামারী সদর থানার পুলিশ। এরপর থেকে থানায় ছিল শিশুটি।

শিশু রাজিবের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার বাসা রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায়। সে ওই এলাকার রাজমিস্ত্রি রুবেল ইসলামের ছেলে ও দক্ষিণখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র। তার মা কল্পনা আক্তার গার্মেন্টসে চাকরি করেন।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, শিশুটিকে চাঁদের হাট বাজার থেকে নিয়ে আসার পর তার কাছ থেকে ঠিকানা শুনে আমরা শিশুটির পরিবারের খোঁজ নিয়েছি। এরপর শিশুটির বাবার সঙ্গে কথা হয়েছিল। উনার আসার কথা ছিল কিন্তু তার বাবা দুইদিন ধরে ফোন বন্ধ করে রেখেছে। এজন্য আমরা সমাজসেবার মাধ্যমে শিশুটিকে রংপুরের শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি।  

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার ফরহাদ হোসেন বলেন, শিশুটির পরিবারের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। তার বাবার ফোন দুইদিন ধরে বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা তার দেওয়া ঠিকানায় খোঁজ নেব। আপাতত শিশুটি রংপুরেই থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।