নীলফামারী: দিন দিন তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে নীলফামারীতে। গত কয়েকদিন থেকে দিনের বেলা জেলায় সূর্যের দেখা মেলেনি।
দিনের বেলা কনকনে শীত না থাকলেও রাতে শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। সকালের শীত-কুয়াশায় কর্মজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষের বের হতে অনেকটা কষ্ট পোহাতে হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে সড়কে লোকজনের চলাচল কম। যানবাহনগুলো চলছে হেডলাইট জ্বালিয়ে ও ধীরগতিতে। পুরোনো কাপড়ের দোকানে ভিড় বাড়ছে ক্রেতাদের। ঠাণ্ডায় হাত-পা অবস হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হচ্ছে অনেকের।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, প্রতিদিনই তাপমাত্রা কমছে। দিনের প্রথম ভাগ শীত ও কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ছে জনপদ। ফলে বিমান চলাচলে সিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। বিশেষ করে সকালের ফ্লাইটগুলো উড্ডয়ন ও অবতরণে ব্যাঘাত ঘটছে। এ মাসের শেষে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে আসতে পারে বলেও জানান তিনি।
নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান জানান, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠণ্ডাজনিত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু বেশি ভর্তি হচ্ছে। এ জন্য হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসকরা প্রস্তত আছেন। এই শীতে বয়স্ক ও শিশুদের সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
নীলফামারী জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন শীতবস্ত্র হিসেবে জেলার ছয় উপজেলা ও চার পৌরসভায় ২৫ হাজার কম্বল পাঠিয়েছে। এখনও প্রায় পাঁচ হাজার কম্বল মজুত আছে। এ ব্যাপারে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
এফআর