পাবনা: মতবিনিময় সভায় ‘ওদের হাড়-হাড্ডি ভাইঙ্গে এই এলাকা থেকে আমরা শেষ কইরে দেব’ বক্তব্য দেওয়া পাবনার সেই আওয়ামী লীগ নেতা নুর ইসলাম মিন্টু নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি পাবনা-৩ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. তাজউল ইসলামের কার্যালয়ে হাজির হয়ে শোকজের জবাব দিতে গিয়ে ক্ষমা চান এ আ.লীগ নেতা।
নুর ইসলাম মিন্টু বলেন, কমিটি আমাকে যে শোকজ করেছিল আমি নিজে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দিয়েছি। সেখানে জানিয়েছি আবেগপ্রবণ হয়ে ওই বক্তব্য দিয়েছিলাম। আমার ভুল হয়েছে স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছি।
গত ১৭ ডিসেম্বর এক মতবিনিময় সভায় ভোটকেন্দ্র দখল করে ওপেন ভোট দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন নুর ইসলাম মিন্টু।
তার সেই বক্তব্যের পর গতকাল মঙ্গলবার সকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি তাকে ‘শোকজ নোটিশ’ দেন। নোটিশে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় কমিটির কাছে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয় আওয়ামী লীগ নেতা নুর ইসলাম মিন্টুকে।
ওই শোকজ নোটিশে বলা হয়, “আপনি নুর ইসলাম মিন্টু গত ১৭ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার মল্লিকচক গ্রামে স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে বলেছেন, ‘মন্ডতোষ ইউনিয়নে ভোট হবে উৎফুল্ল মনে, একমাত্র নৌকার। একমাত্র মকবুল সাহেবের নৌকার। এর বাইরে কোনো লোক কোনো এজেন্টও থাকবে না, কিচ্ছু থাকবে না। আমরা মমিনপাড়া সেন্টার (ভোটকেন্দ্র) দখল করে রাখব। আমরা ওপেন ভোট দেব। আপনারা শুধু সহযোগিতা করবেন আমাদের। ’আপনি আরও বলেছেন যে, ‘আফসারের সাঙ্গপাঙ্গ যা আছে, ওদের হাড়-হুড্ডি ভাইঙ্গে এই এলাকা থেকে আমরা শেষ কইরে দেব। ’
এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। যা নির্বাচনপূর্ব একটি অনিয়ম। আপনার এমন বক্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। আইন ভঙ্গের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না - সে মর্মে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে নিজে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করতে নির্দেশ দেয়া হলো। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
এসএএইচ