ঢাকা, রবিবার, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি

গাইবান্ধার প্রতিবন্ধী ও অসহায় ৫ হাজার মানুষ পেল কম্বল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
গাইবান্ধার প্রতিবন্ধী ও অসহায় ৫ হাজার মানুষ পেল কম্বল

গাইবান্ধা: বসুন্ধরা গ্রুপের তিন দিনের মানবিক সহায়তা কর্মসূচিতে গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মধ্যে পাঁচ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। গত সোমবার থেকে গতকাল বুধবার পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।

এ সময় গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, জেলা শহর ও শহরতলির বিভিন্ন এলাকার মানুষ, ফুলছড়ির কঞ্চিপাড়া ও সাঘাটার চরাঞ্চলের শীতার্ত পাঁচ হাজার নারী, শিশু ও পুরুষের মধ্যে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ করা হয়। টানা তিন দিনের এই বিতরণ কর্মসূচিতে বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সহযোগিতা করেছেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা।

গত সোমবার সদর উপজেলার বোয়ালী ইউনিয়নের আনিসউদ্দিন খান বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে কম্বল বিতরণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যানের সচিব ফয়েজুর রহমান ফয়েজ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বোয়ালী ইউনিয়নের আনিসউদ্দিন খান বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়, বাদিয়াখালির আহমেদপুর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়, ঘাগোয়া মওলানা ভাসানী বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়, কুপতলা সচেতন পল্লী উন্নয়ন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়, বল্লমঝাড় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়, মধ্য ধানঘড়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়, সুন্দরগঞ্জ উপজেলার পূর্ব শান্তিরাম বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয় এবং সাঘাটা উপজেলার পদুমশহরের স্বাধীন বাংলা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের এক হাজার ৫০০ দুস্থ পরিবারের ছাত্র-ছাত্রী কনকনে শীতের মধ্যে কম্বল পেয়ে খুশিতে আত্মহারা।
পদুমশহরের স্বাধীন বাংলা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের ছাত্র আনিস (১১), লতা (১৪), মীম খাতুন (১২) কম্বল পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত।
তারা বলল, ‘ওই লোকগুলা খুবে ভালা। হামাক আদর করিয়্যা কম্বল দিছে। আতোত (রাতে) মায়ের গোড়ত (কাছে) শুতিয়্যা তাও উসুম (গরম) পাম না। ’

পূর্ব শান্তিরাম বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের আতিয়ার (১৫) অভিভাবক লতিফ মিয়া বলেন, ‘ইকস্যা (রিকশা) টানিয়া যা পাই, তাতে বউ-ছোল মিলিয়্যা চারজনের সংসার চলে না।
পুরানা খ্যাতাত বেটিটার খুবে কষ্ট হচ্ছিল। এলায় একন্যা তাপ পাইবে। আল্লাহ বসুন্ধরা গ্রুপের সগল্যের হায়াত দারাজ করুক। ’
বল্লমঝাড়ের স্কুল শিক্ষক রুবিনা বেগম বলেন, ‘মানুষের দুঃসময়ে যারা এগিয়ে আসে, তাদের হৃদয় অনেক বিশাল। বসুন্ধরা গ্রুপ আগেও নানা দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।

এতে জেলার হাজার হাজার মানুষ খাদ্য সহায়তা পেয়েছে। এবার শীতে তারা কম্বল দিল। আমি তাদের মঙ্গল কামনা করি। ’

বসুন্ধরা গ্রুপের প্রকিউরমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার কাজী তানজিলুস সাদ জানান, প্রতিবন্ধী ছাড়াও বসুন্ধরা গ্রুপের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির অধীনে এই কম্বল পেয়েছেন ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া এলাকা ও সংলগ্ন চরাঞ্চলের এক হাজার ৫০০ জন এবং সাঘাটার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের গ্রাম ও শহর এলাকার দুই হাজার নারী, শিশু ও পুরুষ।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।