ঢাকা: নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অচল করে দিতে করা কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। যারা এ ধরনের সহিংস নাশকতার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিদেশি পর্যবেক্ষকরা এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইরাক, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল ও মালদ্বীপের পর্যবেক্ষকরা।
সংবাদ সম্মেলনে শ্রীলঙ্কার সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ আলী জহির বলেন, আমরা ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসেছি। নির্বাচনের আগের দিন ও নির্বাচনের দিন নির্বাচনের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছি। ৭ জানুয়ারি আমরা খুব ভোর থেকে ঢাকা সিটি ও আশপাশের প্রায় ৩০টি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করি।
আমরা আসার পর জানতে পারি, ঢাকায় কিছু নির্বাচন বিরোধীরা একটি ট্রেনে আগুন দিয়েছে। আমরা ভোটকেন্দ্র, ব্যক্তিগত ও সরকারি যানবাহনে আগুন লাগানোর কিছু খবরও শুনেছি। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে অচল করার জন্য এই ধরনের কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানাই। যারা এই ধরনের সহিংস নাশকতার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আমরা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলি।
তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি বাংলাদেশ সরকার গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে সরকার জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। রোববার পর্যন্ত আমরা দেখেছি বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনের ব্যাপারে খুবই আন্তরিক। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের ভোট দেওয়ার আগ্রহ ও উৎসাহ রয়েছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
আমরা লক্ষ্য করেছি, সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টায় শেষ হয়েছে। আমরা দেখেছি মানুষ লম্বা লাইনে ভোট দিচ্ছেন। এর মধ্যে নারী ও নতুন ভোটারদের উপস্থিতি আমাদের নজর কেড়েছে। সব কেন্দ্রের ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা দেখতে পাই, ভোট দিতে যাওয়ার পথে কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয়নি। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আমরা বলতে পারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর হয়েছে।
ভারতের কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, নির্বাচন অর্থবহ হয়েছে কিনা, এটা বলবে রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম ও জনগণ। বিদেশ থেকে পর্যবেক্ষকরা মাত্র কয়েকদিন কয়েক ঘণ্টার জন্য এসে এ বিষয়ে এত বড় মন্তব্য...। আপনারা যারা গণমাধ্যমে আছেন, আপনারা দেখছেন, আপনার সহকর্মীরা দেখছেন, আপনারা বিশ্লেষণ করছেন...। তাই এ নির্বাচন মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য হবে এটাই শেষ কথা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউএসএআইডির দক্ষিণ এশিয়ার সাবেক ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রশাসক ও এশিয়া টাইমসের বিশেষ সংবাদদাতা জাভিয়ের পিয়েড্রা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৪
টিআর/এমজে