ঢাকা, বুধবার, ২৮ কার্তিক ১৪৩১, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, প্রভাব পড়ছে ফসলেও 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, প্রভাব পড়ছে ফসলেও 

দিনাজপুর: আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে উত্তরের জেলা দিনাজপুর। সকাল, দুপুর কিংবা রাত শীতের তীব্রতা যেন কমছেই না।

এতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে উত্তরের জনজীবন। পাশাপাশি ফসলের জমিতে শীতের তীব্রতার প্রভাব লক্ষ্য করে গেছে। এতে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা।  

বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

এদিকে চলমান শৈত্যপ্রবাহের কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আলু, টমেটো, বোরো ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের ওপর প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে।  

দিনাজপুর সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের যোগীবাড়ী এলাকার কৃষক আলামিন হোসেন। কথা হলে তিনি বলেন, লাগাতার ঘন কুয়াশায় টমেটো আর শিম গাছের অবস্থা খারাপ। শিমের ফুলে শীত জমার কারণে ফুল পচে ঝরে পড়ছে। কীটনাশক ব্যবহার করেও কাজ হচ্ছে না। টমেটো গাছের পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে। টমেটো বড় হচ্ছে না। রোদ না হলে অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যাবে।  

একই এলাকার কৃষক আলফাজ আলী বলেন, আলুর গাছও বড় হচ্ছে না। শীতের কারণে পাতা কুঁকড়ে যাচ্ছে। সার দিয়েও কাজ হচ্ছে না। ধানের বীজতলার অবস্থা আরও খারাপ। চারা লালচে হয়ে পচে যাচ্ছে। নতুন করে আবার ধানের বীজ লাগাতে হয়েছে। আবহাওয়া ভালো না হওয়ায় কীটনাশক বেশি পরিমাণে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে করে আমাদের বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।  

এদিকে তীব্র শীতের প্রভাবে দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। ডায়রিয়া নিউমোনিয়াসহ ঠাণ্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।  

চলমান মৃদু শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ।  

তিনি বলেন, বর্তমানে এ অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে। যা আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। তারপর তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতের তীব্রতা কমে যাবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।