ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

দশ টাকা উপহার দেওয়া ৯২ বছরের সেই বৃদ্ধার বাড়িতে গেলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট ও ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
দশ টাকা উপহার দেওয়া ৯২ বছরের সেই বৃদ্ধার বাড়িতে গেলেন নৌপ্রতিমন্ত্রী বৃদ্ধা শ্রীমতি কামবালার বাড়িতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ

দিনাজপুর: নির্বাচনী পথসভায় শত শত মানুষের ভিড় ঠেলে নৌকার প্রার্থী নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেন ৯২ বছরের বৃদ্ধা শ্রীমতি কামবালা।  

এর পর দশ টাকার একটি নোট উপহার দিয়ে খালিদ মাহমুদকে নৌকায় ভোট দিতে অনুরোধ করেন তিনি এবং এই টাকা নির্বাচনে ব্যয় করার কথা বলেন।

 

এ সময় তিনি সমবেত মানুষের কাছেও নৌকার পক্ষে ভোট চান।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের কালিয়াগঞ্জ বাজারে এক নির্বাচনী পথসভায় এই ঘটনা ঘটে।

বিজয়ের পর দ্বিতীয়বারের মতো নৌপ্রতিমন্ত্রী হয়ে প্রথমবারের মতো নিজ বাড়িতে এসে সেই বৃদ্ধার সঙ্গে দেখা করলেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।  

রোববার (২৮ জানুয়ারি) সকালে ছুটে যান সেই শ্রীমতি কামবালার গ্রামের বাড়ি গোদাবাড়ীতে।

নৌপ্রতিমন্ত্রীকে দেখে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে কেঁদে দেন ৯২ বছর বয়সী কামবালা। এসময় কামবালার ছনের ঘরের সামনেই তাকে একটি শাল, শাড়ি, শীতের পোশাক সোয়েটার ও কামবালার বাধাই করা দুটি ছবি উপহার দেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া কামবালার ছেলের বউকেও উপহার দেন প্রতিমন্ত্রী।

এসময় কামবালা প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, ‘বেটা তুই মোর বাড়িত আইচ্চি, মুই খুব খুশি হইচু, মোর ঘড়ত বসিবার জায়গা নাই, আগিনাত বস। মোড়তায় এত কিছু আনিবার কি দরকার ছিল। ’

উত্তরে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি তো ছেলের মতই, তাই দেখিবার আইচ্চু। ’

পরে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নির্বাচনের আগে এই এলাকায় একটি পথসভায় হাজার হাজার মানুষের ভীড় উপেক্ষা করে এই নব্বই ঊর্ধ্ব কামবালা আমার কাছে এসে পৌঁছান। তখন তিনি একটি দশটাকা নোট উপহার দিয়ে আমাকে বলেন নৌকায় ভোট দিতে এবং এই দশ টাকা নির্বাচনের খরচ হিসেবে কাজে লাগাতে।

তিন বলেন, আমি ছোট সময় থেকে নির্বাচনে কাজ করেছি, প্রচার প্রচারণা করেছি, নিজের নির্বাচনে কাজ করেছি। কিন্তু একজন ভোটার আমার কাছে ভোট চেয়েছে এই অভিজ্ঞতা প্রথম। নব্বই বছরের বেশি একজন নারী নৌকার প্রার্থীর কাছে নৌকার ভোট চাইছেন, যে দাবিটা করেছেন এবং নির্বাচনী খরচ দিয়েছেন। সত্যিই আমি মুগ্ধ। আমি যখন নির্বাচিত হয়েছি তখনই ঠিক করেছিলাম, শ্রীমতি কামবালার বাড়িতে যাব।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবেসেছে, নৌকাকে ভালোবেসেছেন, আজকে নব্বই বছরেও বার্ধক্য উনাকে হার মানাতে পারেনি। বার্ধক্য উপেক্ষা করে নৌকা মার্কার প্রচারণা সভায় অংশ নিয়েছেন। এটা আমাদের জন্য একটা শিক্ষা। সত্য এবং সুন্দরের জন্য কোনো কিছু আটকায় না, এটা কামবালা প্রমাণ করেছেন, আমি তাকে শ্রদ্ধা জানাতে এখানে এসেছি।

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
এসকে/এসএএইচ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।