ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গুলশানে নিজে ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল রাসেলের দেহ 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
গুলশানে নিজে ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছিল রাসেলের দেহ  প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রাজধানীর গুলশান নিকেতন এলাকার একটি ভবনে রাসেল আহমেদ (৩২) নামে এক গাড়িচালকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে।  

দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে তার দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান সহকর্মীরা।

পারিবারিক কলহের কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেছেন পরিবার ও সহকর্মীরা।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে দশটার দিকে নিকেতনের এফ ব্লকের ১১ নাম্বার ভবনের পঞ্চম তলায় এই ঘটনা ঘটে।

শরিয়তপুরের ডামুড্ডা উপজেলার চরবয়রা গ্রামের মো. খোরশেদের ছেলে রাসেল। নিকেতনের ওই ভবনে চিশতী গ্রুপের গাড়িচালক ছিলেন তিনি।

সোমবার (২৯ জানুয়ারি) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে গাড়িচালক রাসেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, ঘটনাটি গুলশান থানায় অবগত করা হয়েছে।

চিশতী গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন জানান, রোববার রাতে সহকর্মীরা তার রুমের দরজা বন্ধ দেখতে পান। অনেক ডাকাডাকি করে কোনো সাড়া না পেয়ে পরে আশপাশের ভাড়াটিয়া এবং দারোয়ানের মাধ্যমে দরজা ভাঙেন তারা। এরপর ভেতরে তাকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে মৃত রাসেলের ছোট ভাই মো. ফয়সাল আহমেদ জানান, সাত-আট মাস আগে তার বড় ভাই রাসেল বিয়ে করেন। তবে তার স্ত্রীর নানান সমস্যা থাকার কারণে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। গত দেড় মাস আগে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে যান। এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন রাসেল। রোববার রাতেও পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন রাসেল। এর কিছুক্ষণ পরেই রাসেলের সহকর্মীর মাধ্যমে জানতে পারেন, গলায় ফাঁস দিয়েছেন তার ভাই। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে তার লাশ দেখতে পান।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৪
এজেডএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।