মাগুরা: মাগুরায় রেললাইনের ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ১৬ জন কৃষককে ১ কোটি ৮৬ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকার পর এই প্রথমবারের মতো শুরু হলো মধুখালী থেকে মাগুরা পর্যন্ত রেলসংযোগ ও চেক প্রদানের আনুষ্ঠানিকতা।
১১৪ কোটি ঢাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হবে রেললাইন। প্রথম ধাপে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে ১ কোটি ৮৬ হাজার টাকা বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয় রেললাইনের ভূমি অধিগ্রহণের জমির কাপজপত্রের জটিলতায় কৃষকদের চেক দিতে সময় লেগেছে।
এল এ চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাদ্দাম হোসেন, অভিদাস, নাবিক কায়সার বিভাগীয় প্রকৌশলী বাংলাদেশ রেল বিভাগ পাকশী, অপূর্ব কুমার বিশ্বাস, কছুন্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবু কাশেম মোল্লাসহ অন্যরা।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে অনেক স্থানীয় কৃষকরা জানান, কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই সরকারিভাবে এত কম সময়ে এল এ চেক পাওয়ায় সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বলছে, মাগুরা থেকে মধুখালী পর্যন্ত রেললাইনের কাজ চলমান রয়েছে। তাছাড়া ফরিদপুর থেকে কামারখালী পর্যন্ত রেললাইনের ভূমি অধিগ্রহণের জায়গা ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই সেকশনটা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ দীন ধরে রেললাইনের জমিগুলো পতিত হিসেবে পড়েছিল। ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে রেললাইনের কাজ থেমে আছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে জমি না পেলে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হলে ২০২৫ সালের প্রথম দিকে দৃশ্যমান হবে মাগুরা ও মধুখালী রেললাইন প্রকল্পের কাজ।
মাগুরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ বলেন, সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে ধরে রাখতে মাগুরা ও মধুখালী পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে এল এ চেক বিতরণ করা হয়েছে। আগামীতে আরও একশটি চেক প্রদান করা হবে। ভূমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রেললাইনের কাজ শুরু করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৪
আরএ