ঢাকা: খাদ্য নিরাপত্তায় প্যাকেজিংয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে শুধু প্যাকেটজাত করলেই খাদ্য পুরোপুরি নিরাপদ হয় না।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে একটি গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে জার্মানভিত্তিক কালি ও কোটিং প্রস্তুতকারী বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠান সেগওয়ার্ক। সেখানে খাদ্য নিরাপত্তায় টলুইনমুক্ত নিরাপদ কালি ও কোটিং ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির ভারত অঞ্চলের ব্র্যান্ড ওনার কোলাবোরেশন বিভাগের প্রধান যতীন টাক্কার।
গোলটেবিল বৈঠকে তিনি বলেন, খাদ্য প্যাকেজিং নিরাপত্তার বিষয়ে সাধারণ ভোক্তারা সচেতন হলেও প্যাকেজিংয়ে ব্যবহৃত কালি ও কোটিং নিরাপদ কি না, সেই বিষয়ে তারা সচেতন নয়। খাদ্য প্যাকেজিংয়ে এক থেকে আট ধরনের কালি ব্যবহার করা হয়। আর এক একটি কালিতে ৫৫-৭০ ধরনের রাসায়নিক থাকে। সাধারণ কালিতে এসব রাসায়নিকের সঙ্গে থাকে টলুইন, মিনারেলসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর বস্তু, যা মানব শরীরে ক্যান্সারসহ অন্যান্য জটিল রোগ সৃষ্টি করতে পারে। তাই খাদ্য প্যাকেজিংয়ে নিরাপদ কালির ব্যবহার নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
যতীন টাক্কার আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার মান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে দারুণ অগ্রগতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ। কাজেই যথাযথ ও নিরাপদ সলভেন্ট, পিগমেন্ট ও অন্যান্য উপাদানের সাথে নিরাপদ খাদ্য প্যাকেজিং প্রস্তুত করতে হবে। আর তার জন্য নিয়ন্ত্রক ও সাপ্লাই চেইন উভয় দিক থেকেই খাদ্য প্যাকেজিং বিষয়ে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কাজ করা খুবই জরুরি।
বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তায় প্যাকেজিং কালির প্রভাব, টলুইনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে সেগওয়ার্কের ভূমিকা তুলে ধরেন যতীন টাক্কার। তিনি বলেন, পণ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সেগওয়ার্ক সবচেয়ে নিরাপদ কালি ও কোটিং তৈরিতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ইতোমধ্যে শীর্ষস্থানীয় বৈশ্বিক নিরাপদ প্যাকেজিং সমাধান হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এই কোম্পানি। পাশাপাশি কোম্পানিটি নিজেদের অভিজ্ঞতা দ্বারা অনেক ব্র্যান্ড মালিককে খাদ্য নিরাপত্তা এবং নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে। এতে নিয়ন্ত্রক সংস্থার সম্মতি বা রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা যায় এবং খাদ্য দূষণের ঝুঁকি এড়ানো যায়।
এই বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়োজন জানিয়ে যতীন টাক্কার বলেন, ভোক্তারা প্যাকেজিংয়ে নিরাপদ কালি ও কোটিং ব্যবহারের বিষয়ে জানে না। তাই তাদের এই বিষয়ে সচেতন করা প্রয়োজন। আবার ভোক্তাদের খাদ্যপণ্যের প্যাকেট দেখে বোঝার উপায় নেই যে, সেই প্যাকেজিংটা নিরাপদ কিনা। এজন্য সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোকে সেটি নিশ্চিত করে প্যাকেটের গায়ে চিহ্ন দেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২৪
এসসি/এমজেএফ