ঢাকা: ইনসেনটিভ (প্রণোদনা) বন্ধের সিদ্ধান্তে পোশাকশিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। তিনি এ সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার আগামী জুন মাস পর্যন্ত রহিত করার অনুরোধ জানান।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, গত ৩০ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক একটি সার্কুলার জারি করেছে। পোশাকশিল্পের ইনসেনটিভ তারা বন্ধ করেছে (কমিয়েছে)। এই পোশাকশিল্প আমাদের বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি প্রধান চালিকাশক্তি। বর্তমানে যেখানে আমাদের ডলার সংকট এবং রপ্তানি আয়ের ওপর চাপ পড়েছে, সেই মুহূর্তে এই সার্কুলারটি আমি মনে করি আমাদের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকারক হবে।
‘যে উদ্দেশ্যে করা হয়েছে সেই উদ্দেশ্যের সঙ্গে আমি একমত, কিন্তু হঠাৎ করে যদি সাবসিডি (ভর্তুকি) বন্ধ করা হয়, ইনসেনটিভ (প্রণোদনা) বন্ধ করা হয়, পোশাকখাত অসুবিধার মধ্যে পড়বে। প্রশ্ন হচ্ছে, এরই মধ্যে আগামী জুন পর্যন্ত সাবসিডি দেবে বলে একটা প্রজ্ঞাপন আছে, সেটার ওপর ভিত্তি করে পোশাকশিল্পের যারা আছেন তারাই এই জুন পর্যন্ত কন্ট্রাক্ট করেছেন, এই কন্ট্রাক্ট করার সময় সাবসিডিকে তারা হিসাবের মধ্যে নিয়েছেন। এখন যদি এটা বন্ধ করা হয়, তাহলে এই পোশাকশিল্পের যারা আছেন তারা প্রচণ্ড ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়বেন। ’
বিরোধীদলীয় উপনেতা পোশাকখাতের ওপর বিভিন্ন পর্যায়ের চাপের কথা তুলে ধরে বলেন, এগুলো মিলে এই সার্কুলারের কারণে আমি মনে করি, পোশাকশিল্প অসুবিধার সম্মুখীন হবে, ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সেজন্য আমি অনুরোধ করবো অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশে ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে যেন এই সার্কুলারটি রহিত করেন। অন্ততপক্ষে জুন পর্যন্ত যে সাবসিডি দেওয়ার কথা, সেটা যেন দেন। জুনের পর থেকে গ্রাজুয়ালি যদি কমান, সেটা আমি মনে করি পোশাকশিল্প মেনে নিতে বাধ্য হবে। কারণ আমরা ডব্লিউটিওর অধীনে ২০২৬ সালের পরে কোনো রকম সাবসিডি দিতে অপারগ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২৪
এসকে/এইচএ/