ঢাকা, বুধবার, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

লিবিয়ায় আটকে নির্যাতন, ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
লিবিয়ায় আটকে নির্যাতন, ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

শরীয়তপুর: ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে নির্যাতনের পর মুক্তিপণ আদায়ের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নির্যাতনের শিকার পরিবারের সদস্যরা।  

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শরীয়তপুরের নড়িয়া পৌরসভার হলরুমে একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচারকারী চক্রের বিরুদ্ধে এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগীরা বলেন, নড়িয়া পৌরসভার সারেং কান্দি গ্রামের সজীব ছৈয়াল ওরফে শরিফ, বাসার ছৈয়াল, সামাদ ছৈয়াল, কুরবান মৃধা, রফিক ছৈয়াল, রোস্তম আলী ছৈয়াল নাঈম ছৈয়াল, আরিফ ছৈয়াল একটি প্রতারক চক্র। দীর্ঘদিন ধরে দেশ থেকে বিদেশে নেওয়ার কথা বলে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে নগদ টাকা নিয়ে থাকেন তারা।  

সম্প্রতি ঢাকার ধামরাই থেকে এ চক্রের প্রধান হোতা সজীব ছৈয়াল ওরফে শরিফকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে এখন শরীয়তপুর জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছে।  

লিবিয়ায় নিখোঁজ নড়িয়ার সারেং পাড়ার অন্তর সারেংয়ের মা সেলিনা বলেন, দালাল শরীফকে কয়েকবারে ১৫ লাখ টাকা দিয়েছি। গত দুই বছর ধরে আমার ছেলে নিখোঁজ। আমি আমার ছেলেকে ফেরত চাই।  

আরেক ভুক্তভোগী ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছঁয়গাও এলাকার পারভেজ লস্করের বাবা হারুন লস্কর বলেন, দালাল শরীফকে তিন বারে ১৫ লাখ টাকা দিয়েছি। কিন্তু আমার ছেলেকে সে লিবিয়ার মাফিয়াদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। প্রধান আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু এখন আমাকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন তারা।  

নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, মানবপাচারকারীদের আমরা কোনোভাবেই ছাড় দেব না। ইতিমধ্যে এ চক্রের প্রধান হোতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে দালালদের ফাঁদে না পরতে সবাইকে সতর্ক হওয়ার অনুরোধ করেছি। বৈধভাবে যারা প্রবাসে যেতে চাচ্ছেন তাদের আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।