ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রেমে রাজি না হওয়ায় ভাইকে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪
প্রেমে রাজি না হওয়ায় ভাইকে পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার

কক্সবাজার: কক্সবাজারে বড় বোন প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ছোট ভাইকে (৫) অপহরণ করে হত্যার অভিযোগে মো. তারেক আজিজ (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের জুমছড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম।

গ্রেপ্তার প্রধান আসামি সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মধ্যম জুমছড়ি এলাকার মোহাম্মদ আজিজের ছেলে। নিহত মোহাম্মদ আবিদ একই এলাকার মোহাম্মদ ইসহাকের ছেলে।  

মামলার বরাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, মোহাম্মদ আবিদের বড় বোনকে তারেক আজিজ দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। বড় বোনকে প্রেমে রাজি করাতে ছোট ভাই আবিদকে প্রায় সময় চকলেট, আচারসহ অন্য খাবারের লোভ দেখিয়ে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টা চালায় তারেক আজিজ। এতে তারেক ব্যর্থ হয়ে আবিদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বাড়ির পাশে খেলাধুলা করছিল আবিদ। একপর্যায়ে আবিদকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে তারেক আজিজ ইজিবাইকে করে পিএমখালী ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকায় বাঁকখালী নদীপাড়ে নিয়ে যায়। ওইদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সেখানে আবিদের সঙ্গে তারেক খেলাধুলা করেন। যাতে আবিদকে হত্যা ঘটনায় কেউ তাকে সন্দেহ না করে। পরে নদীর পাড়ে গাছের সঙ্গে আবিদকে বেঁধে রেখে তারেক বাড়ি চলে আসে। ’ 

তারেক আজিজের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘সন্ধ্যার পরও আবিদ বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। সন্দেহ এড়াতে বাড়ি ফিরে তারেকও আবিদকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে স্বজনরা বাড়ি ফিরে গেলে তারেক আবারও বাঁকখালী নদীর পাড়ে যায়। এরপর আবিদের হাতের বাঁধন খুলে জুমছড়ি এলাকার স্থানীয় একটি পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করে মরদেহ পানিতে ভাসিয়ে দেয়। ’ 

আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, নিখোঁজ হওয়ার দিন রাতে অজ্ঞাত নম্বর থেকে ফোনকল আসে আবিদের মায়ের নম্বরে। এ সময় তার ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আর মুক্তিপণের টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। পরদিন সকালে ওই পুকুর থেকে ভাসমান অবস্থায় আবিদের মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।  

র্যাব কর্মকর্তা বলেন, নিহত শিশুর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে র্যাব ঘটনাটি অবহিত হওয়ার পর জড়িতদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। মধ্যরাতে গোপন সংবাদে পিএমখালী ইউনিয়নের জুমছড়ি এলাকার একটি বাড়িতে তারেক আজিজের অবস্থান নিশ্চিত হয় র্যাব। র্যাব সদস্যরা সন্দেহজনক বাড়িটি ঘেরাও করলে দৌড়ে পালানোর সময় ধাওয়া করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।  

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।