ঢাকা, রবিবার, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা

দেবিদ্বারে ঈগলের পক্ষে কাজ করায় যুবকের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
দেবিদ্বারে ঈগলের পক্ষে কাজ করায় যুবকের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ আহত মো. ছবির হোসেন

কুমিল্লা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় মো. ছবির হোসেন (২৭) নামে এক যুবকের দুই হাত ও এক পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের কর্মীদের বিরুদ্ধে।  

এ ঘটনায় শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ছবির হোসেনের বড় ভাই সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এর আগে শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার জাফরগঞ্জ বাজারে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী মো. আবুল কালাম আজাদের পক্ষে কাজ করেন দক্ষিণ নারায়ণপুর গ্রামের তোফাজ্জাল হোসেনের ছেলে মো. ছবির হোসেন। তিনি পেশায় একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক।  

নির্বাচনে নৌকার পরাজয়ের কারণে ছবিরকে হুমকি দিয়ে আসছিল সাবেক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলের কর্মীরা। শুক্রবার রাত ১০টায় উপজেলার জাফরগঞ্জ কলেজ গেট এলাকা থেকে ছবির হোসেনকে তার অটোরিকশাসহ তুলে নিয়ে যায় রাজীর কর্মীরা। পরে তারা ছবির হোসেনের দুটি হাত ও একটি পা ভেঙে গঙ্গামণ্ডল এলাকার তিতু মিয়ার বাড়ির পাশে কবরস্থানের কাছে ফেলে রেখে যায়। গুরুতর আহত ছবিরকে উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।  

চিকিৎসারত ছবির হোসেন জানান, নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য আমাকে অনেক চাপ প্রয়োগ করেছে সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন ও গঙ্গামণ্ডল গ্রামের আওলাদ। নৌকার পরাজয়ের পরও আমাকে বিভিন্নভাবে তারা হুমকি দিয়ে আসছিল। শুক্রবার রাতে কলেজ গেটে আওলাদ, অপু, আক্তার, কামালসহ আরও কিছু লোক আমার অটোরিকশা থামিয়ে গলায় ছুরি ধরেন। পরে আমাকে ওই জায়গা থেকে তুলে নিয়ে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে অনেক মারধর করে এবং আমার হাত-পা ভেঙে একটি কবরস্থানের পাশে ফেলে দিয়ে অটোরিকশা, মোবাইল ও সঙ্গে থাকা টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। আমি অনেক আকুতি মিনতি করে তাদের পা ধরেও রক্ষা পাইনি।  

এসব অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নয়ন মিয়া জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।