ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

উখিয়া সীমান্তে নিখোঁজের ১৭ দিন পর মিলল জেলের লাশ 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
উখিয়া সীমান্তে নিখোঁজের ১৭ দিন পর মিলল জেলের লাশ 

কক্সবাজার: নিখোঁজ হওয়ার ১৭ দিন পর কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার আঞ্জুমানপাড়া সীমান্তে মোস্তাফিজুর রহমান (৪৭) নামে এক জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বজনদের দাবি, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা ওই জেলেকে অপহরণ করেছিল।

নিহত মোস্তাফিজুর রহমান উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের আজ্ঞুমানপাড়ার মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের রহমতের বিল সীমান্তের নাফ নদীর তীরের বেঁড়িবাধ থেকে নিখোঁজ জেলের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে উখিয়া উপজেলার আজ্ঞুমানপাড়া সীমান্তে নাফ নদীতে মাছ ধরতে যান স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমানসহ কয়েকজন জেলে। এক পর্যায়ে সশস্ত্র আরাকান আর্মির সদস্যরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে ওই দিন ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা অন্য জেলেরা বিষয়টি স্বজনদের জানান।  

স্বজনরা বিষয়টি বিজিবিসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে অবহিত করার পাশাপাশি নানাভাবে খোঁজ খবর নিয়েও তার সন্ধান পাননি।

নিহত মোস্তাফিজুরের ছোট ভাই আমির হোসেন জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে উখিয়া উপজেলার আজ্ঞুমানপাড়া সীমান্তে নাফ নদীতে অন্য জেলেদের সঙ্গে তার ভাই মোস্তাফিজুর রহমানও মাছ ধরতে যান। এক পর্যায়ে আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হলেও তার ভাইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি।  

আমির হোসেন বলেন, মৃতদেহ পাওয়ার খবর শোনার পর বিষয়টি বিজিবি ও পুলিশকে জানানো হয়। পরে রোববার রাত সাড়ে ১১টায় বিজিবির সহায়তায় রহমতের বিল সীমান্তের বেঁড়িবাধ থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়।

এ সময় মোস্তাফিজুর রহমানের শরীরে কোনো ধরণের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার পায়ে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন রয়েছে বলে জানান আমির।

ওসি শামীম হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪
এসবি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।