ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

৩৮ তিলা মুনিয়ার মধ্যে জীবিত মিলল মাত্র ৯টি

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৪
৩৮ তিলা মুনিয়ার মধ্যে জীবিত মিলল মাত্র ৯টি জীবিত উদ্ধার করা পাখি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজার: জেলার কমলগঞ্জ উপজেলা থেকে ৩৮টি তিলা মুনিয়াসহ পাখি ধরার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের কালারাইবিল এলাকা থেকে এসব পাখি উদ্ধার করা হয়।

এর মধ্যে ২৯টিই ছিল জবাই করা। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে শিকারিরা পাখি ধরার সরঞ্জাম রেখে পালিয়ে যান।
 
স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী সালাহউদ্দিন শুভ বলেন, চা বাগানগুলোতে পাখির আনাগোনা বেশি। বিশেষ করে কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ও ইসলামপুর ইউনিয়নে পাখিরা বেশি আসা-যাওয়া করে। এখানে রয়েছে চা বাগান ও রাজকান্দি রেঞ্জ ফরেস্ট এলাকা। এসব জায়গা পাখিদের প্রধান আবাস্থল।  

তিনি বলেন, তবে এসব জায়গাকে কেন্দ্র করেই শিকারিরা ফাঁদ পেতে রাখেন। তাতে ধরা পড়ে মুনিয়া ও অন্যান্য দেশি-বিদেশি পাখি। পরে তা বিক্রি করা হয় স্থানীয় বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায়। এভাবেই দিনে দিনে অস্তিত্ব সংকটের মুখে পড়ছে মুনিয়াসহ অন্য পাখিরা।

সাধারণত শীতে এ এলাকায় পরিযায়ী পাখিরা আসে। কিন্তু শিকারিরা তাদের ফাঁদ পেতে রাখে সবসময়। কিছুদিন আগে স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যান টিয়াসহ পাখি ধরার সরঞ্জাম উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, নিয়মিত এসব জায়গায় অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে। তাহলে শিকার কিছুটা হলেও বন্ধ হবে।

রাজকান্দি রেঞ্জের আদমপুর বিট কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, জবাই করা ২৯টি তিলা মুনিয়া মাটিতে পুঁতে ফেলা হয় ও ৯টি পাখিকে অবমুক্ত করা হয়। তবে শিকারির দল পালিয়ে গেছে।

শ্রীমঙ্গল বন্যপ্রাণী রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা নিয়মিত অভিযান চালায় এসব এলাকায়। বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে পাখিসহ পাখি ধরার সরঞ্জাম উদ্ধার করে থাকি।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪
বিবিবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।