ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নাহিয়ান আমিন। ২৯ ফেব্রুয়ারি অধিবর্ষের দিনে মেসেঞ্জার নোটে লিখেছিলেন, হয়তো চার বছর পর আবার এই দিনটিতে ফিরে তাকাব।
চার বছর পর আবারো দিনটির কথা স্মরণ করতে চেয়েছিলেন আমিন। কে জানতো, ঠিক সেদিন তিনিই চলে যাবেন স্মরণে!
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার পর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে আগুন লাগে। সেখানেই আটকা পড়ে মারা যান বুয়েট শিক্ষার্থী নাহিয়ান আমিন।
একই ঘটনায় মারা গেছেন বুয়েটের আরেক শিক্ষার্থী যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২২ ব্যাচের লামিশা ইসলাম।
তাদের একাধিক বন্ধু, বুয়েট সাংবাদিক সমিতি ও নটরডেম অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পেজ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ভোর ৫টা ৩০ মিনিটে বুয়েটের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে নাহিয়ান আমিনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। আমিন ও লামিশার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে তার বন্ধুদের মাঝে।
নাহিয়ান আমিনের বন্ধু তাসমিনুল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, বিশ্বাস করতে পারছি না। আসলে আমি বিশ্বাস করতে চাইছি না। আমার প্রাণের বন্ধু আমিন আর নেই।
আরেক বন্ধু ফাহাদ হুসাইন লিখেছেন, নাহিয়ানের সাথে দেখা হলেই হাসিমাখা মুখে “কেমন আছো, ভাই?” জিজ্ঞাসাটা সবসময় থাকতো ওর পক্ষ থেকে। নাহিয়ানের হাসিমাখা মুখটা আর দেখা হবে না।
লামিশার বন্ধু ইফরাত জাহান প্রভা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, কেন এটা লামিশাই হতে হলো? ভালো মানুষগুলোর সঙ্গেই কেন এমন হয়? ওর মিষ্টি হাসি, কাজের প্রতি নিবেদন, সরলতা সবই ভাবাচ্ছে।
সবশেষ তথ্যমতে, বেইলি রোডের আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৫ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ২৯ জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২৪
আরএইচ