পিরোজপুর: পিরোজপুরের নাজিরপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে জনি গাইন শান্ত (১৭) নামে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার (১০ মার্চ) রাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় উপজেলার গিলাতলা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত শান্ত গাইন উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের গিলাতলা গ্রামের মহিতোষ গাইনের ছেলে।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে রোববার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এতে ধর্ষক ও তার সহযোগীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ভুক্তভোগী, ধর্ষক ও তার সহযোগী উপজেলার গিলাতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
অভিযোগ ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষক ও ওই ছাত্রীর সহপাঠী একই এলাকার আশীষ বেপারীর ছেলে অন্তু ব্যাপারী দীর্ঘ দিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এতে সাড়া না দেওয়ায় গত ৭ ডিসেম্বর বিকেলে শান্ত গাইন তার বন্ধু অন্তু বেপারীর সহযোগিতায় ওই স্কুলছাত্রীকে ডেকে নিয়ে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে ধর্ষণ করে। এ সময় সহযোগী অন্তু মোবাইলের মাধ্যমে সেদৃশ্য ভিডিও ধারণ করে এবং এ ঘটনা কাউকে বললে হত্যার হুমকি দেয়। পরে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের ভিডিও সামজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ফের কুপ্রস্তাব দিলে ভুক্তভোগী তাতে রাজী হয়নি। কিন্তু গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই ধর্ষণের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার তথ্য পান ভুক্তভোগীর পরিবার।
ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, মামলা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই রাতে অভিযুক্ত শান্ত গাইন ও তার বাবা মহিতোষ গাইন আমাদের বাড়িতে হামলা ও আমাকে মারধর করে।
ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খালিদ হোসেন সজল বলেন, থানায় অভিযোগ দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষক ও তার বাবা ভুক্তভোগীর বাড়িতে হামলা এবং ওই ছাত্রীর বাবাকে মারধর করেছে। পরে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ধর্ষককে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শান্তর বাবার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি পলাতক থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২৪
আরএ