ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মাদারীপুরে মাছের দাম বাড়ায় হতাশ ক্রেতারা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৪
মাদারীপুরে মাছের দাম বাড়ায় হতাশ ক্রেতারা!

মাদারীপুর: সরবরাহ কমে যাওয়ার অযুহাতে মাদারীপুরের বাজারগুলোতে বেড়েছে মাছের দাম। ফলে মাছ বাজার ঘুরে হতাশা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।

 

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে মাদারীপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ আসতে শুরু করে বাজারে।

নদ-নদী, জলাশয় ও বিলের মাছ ধরে নিয়ে আসেন মৎস্য চাষি ও বিক্রেতারা। পরে খুচরা বিক্রি করেন তারা। এক সপ্তাহ ধরে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা। বাজার নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। যদিও বিক্রেতাদের দাবি, বাজারে মাছে সরবরাহ কম থাকায় কিছুটা বেড়েছে দাম।

জানা গেছে, প্রতি কেজি পাবদা ৩৫০-৩৮০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া তেলাপিয়া ও কই ৩০০ টাকা, শিং ৮০০-১০০০ টাকা কেজি, রুই মাছের কেজি ৪০০ টাকা, কাতল বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪২০ টাকায়। চিংড়ি ৬০০-৯০০ টাকা কেজি, শোল ৬০০-৮০০ টাকা, বোয়াল ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। । আর ইলিশ মাছ আকার ভেদে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫০-১৪০০ টাকায়।

ক্রেতারা জানান, বাজারে পর্যাপ্ত মাছের আমদানি রয়েছে। অথচ, বিক্রেতারা দাম কমাচ্ছে না। আমাদের কিনে খেতে কষ্ট হয়। মাছ কিনতে এসে মাছ কেনা যায় না, পরে ডিম কিনে নিয়ে যাওয়া লাগে। এই হলো পরিস্থিতি। ৪০০-৫০০ টাকা টাকি মাছের কেজি। এভাবে চলতে থাকলে মাছ না খেয়েই থাকতে হবে!।

শহরের ইটেরপুল বাজারের মাছ বিক্রেতা মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, আড়তে মাছের সংকট। তাই বাজারে মাছের দাম বেড়েছে। আমরা কম দাম কিনে আনতে পারলে, কম দামে বিক্রি করতে পারবো।

আরেক বিক্রেতা স্বপন বলেন, দেশি মাছের চাহিদা বেশি, সেজন্য দামও বেশি। আর চাষের মাছের দাম কম। আমরা কিনে এনে বিক্রি করি, আড়তে দাম কমালে আমরাও অল্প লাভে বিক্রি করতে পারি।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাদারীপুরের সহকারী পরিচালক জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ভোক্তার স্বার্থে বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযোগ পেলে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। জনবল সংকট থাকায় সবজায়গায় একসঙ্গে অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব না। তবুও সাধ্যমতো অভিযান চালানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।