চাঁদপুর: চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন করে শত শত বাল্কহেডে বালু বিক্রি করছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। বালু উত্তোলনের ফলে চরম হুমকিতে রয়েছে নদীরক্ষা বাঁধসহ পশ্চিম পাড়ের চরাঞ্চলগুলো।
স্থানীয়রা জানান, আমাদের উপজেলায় মেঘনার ভাঙন অব্যাহত ছিল। ২০০৯ সালে সরকার বাঁধের ব্যবস্থা করে। কিন্তু অবৈধভাবে বালু বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ চক্রটি। মানচিত্র থেকে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় এখন হাইমচর। উপজেলাকে রক্ষা করতে বালু উত্তোলন বন্ধ করে চক্রগুলোকে আইনের আওতায় আনা সময়ের জোর দাবি জানান এলাকাবাসী।
উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সবুজ বলেন, গত কয়েকদিন বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি ড্রেজার গাজিপুর চরের খালের মুখে রেখেছিল সংঘবদ্ধ চক্রটি। আমি খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তারা হাইমচর ও বরিশালের হিজলা সীমান্ত এলাকায় বালু উত্তোলন করেন। এখন লোক মারফতে শুনতেছি রাতে নাকি আমাদের হাইমচরেও তারা বালু উত্তোলন করেন। হাইমচর রক্ষায় বালু খেকো চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করে ড্রেজারগুলো জব্দ করার জন্য প্রশাসনের নিকট অনুরোধ করছি।
নীলকমল ইউপি চেয়ারম্যান সাউদ আল নাসের বলেন, আমি জানি হাইমচরের সীমান্তবর্তী হিজলা এলাকায় বালু এবং মাটি কাটে মাটি খেকো এ চক্রটি। রাতের আধারে যদি হাইমচরে বালু কাটে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। এটা বন্ধ করতে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
নীলকমল নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর জানান, বালু উত্তোলনের সংবাদ পেয়ে আমরা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাইভ লোকেশনে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলেছি। যেখানে বালু তোলে ওই জায়গা আমাদের সীমানা থেকে পাঁচ কিলোমিটার দুরে হিজলা এলাকায়। আমাদের এরিয়ার বাহিরে হওয়ায় আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি। রাতে হাইমচরের সীমানায় বালু তোলার বিষয়ে আমাদের জানা নেই। যদি এমন তথ্য পাই তাহলে ব্যবস্থা নেব।
হাইমচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত ১০টি ড্রেজার কাটাখালি ঘাটে রয়েছে জানতে পেরেছি। সার্বিক খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২৪
এসএম