ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের রাজিব শিকদার গ্রেপ্তার

অতিথি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের রাজিব শিকদার গ্রেপ্তার

ঢাকা: সাভারের চাঞ্চল্যকর আমজাদ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি ও পিনিক রাব্বি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য রাজিব শিকদারকে (৩২) মাদারীপুর সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আমজাদ হত্যাকাণ্ড ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডে এ গ্রুপের সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিপিসি-২, ‌‌র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান। এর আগে র‍্যাব-৪ ও র‍্যাব-৮ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে মাদারীপুর সদর থানা এলাকা থেকে গত ২৫ মার্চ রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে।

রাজিব শিকদার সাভারের কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের অন্যতম সদস্য।

র‌্যাব জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে সাভারের বেশ কয়েকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব হত্যাকাণ্ডের আড়ালে সাভারের কিশোর গ্যাং ‘পিনিক রাব্বি’ গ্রুপের সম্পৃক্ততা রয়েছে। গত ২১ মার্চ সাভারের সোবহানবাগ এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তারসহ পিনিক রাব্বি গ্রুপের সদস্যরা আমজাদ হোসেনকে (৩২) দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন আমজাদকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মামলা হলে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায় র‌্যাব। পরে গত ২৫ মার্চ রাতে র‍্যাব সদরদপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় র‍্যাব-৪ এবং র‍্যাব-৮ এর একটি আভিযানিক দল মাদারীপুর জেলার সদর থানা এলাকা থেকে রাজীব শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, গ্রেপ্তার আসামি ও তাদের গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় নিজেদের আধিপত্য বিস্তারসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তাদের গ্রুপে ১০-১৫ সদস্য রয়েছে। এ গ্রুপের সদস্যরা এলাকায় ছিনতাই, ডাকাতি, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অপহরণ ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতো। তারা পথচারীদের আকস্মিকভাবে ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় । এছাড়া প্রায়ই মাদক সেবন ও মাদক কেনা-বেচাসহ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতো। এ গ্রুপের সদস্যরা বিভিন্ন সময় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করতো।

সিপিসি-২, ‌‌র‌্যাব-৪ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।