নওগাঁ: সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালের বেডে অস্বাভাবিক যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন ৩৫ বছর বয়সী ফিরোজ হোসেন। তাকে চিকিৎসা দিতে ব্যস্ত চিকিৎসারা।
বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর মান্দা উপজেলায় পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শিশুটির। এ ঘটনায় গুরুত্ব আহত হন শিশুর বাবা-মা ও বোন। নিহত শিশুর বাবা ফিরোজ হোসেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ঈদের ছুটি কাটাতে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে সপরিবারে তারা গ্রামের বাড়ি পত্নীতলা উপজেলার চকগোছাই গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে বিজয়পুর এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।
মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক বিজয় কুমার রায় জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পরে প্রথমে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয় তাদের। এ ঘটনায় ফিরোজ হোসেন এবং তার স্ত্রী ও এক মেয়েকে গুরুতর আহত অবস্থায় পাই আমরা। তবে শিশুটিকে মৃত্যু অবস্থায় নেওয়া হয় হাসপাতালে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর সময় হাসপাতালের একজন নার্সের সহযোগিতায় মৃত্যু শিশুটিকে শেষ বারের মতো চুমু দেন বাবা ফিরোজ হোসেন। এমন হৃদয় বিদারক ঘটনা সবাইকে অশ্রুসিক্ত করেছে। এমন দৃশ্য আমরা কোনোভাবেই ভুলতে পারছি না।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা পরবর্তীতে জানতে পারি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নিহত শিশুটির মা মৃত্যুবরণ করেছেন। আহত ফিরোজ হোসেন এবং তার সাত বছর বয়সী মেয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৪
আরআইএস