নওগাঁ: ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী এ এস এম সাইদুজ্জামানের পরিবারে ঈদ উপহার নিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন নওগাঁ জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা।
মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) বিকেলে সাইদুজ্জামানের স্ত্রী, বাবা-মা ও শিশু মেয়ের খোঁজ নেন তিনি।
এ সময় নওগাঁ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাইদুজ্জামানের মেয়ে মেহেরিমা সাফরিন জামানকে ঈদের নতুন জামা উপহার দেন জেলা প্রশাসক। এছাড়াও রমজানে পরিবারে খাদ্য সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছে।
প্রকৌশলী এ এস এম সাইদুজ্জামান নওগাঁ শহরের দুবলহাটি রোড এলাকার বাসিন্দা।
উপহার সামগ্রী গ্রহণ করে সাইদুজ্জামানের বাবা সাবেক অধ্যক্ষ ও নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল কাইয়ুম জানান, জেলা প্রশাসক সরকারের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের প্রতি যে সমবেদনা জানিয়েছেন তাতে তারা সরকারের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞ। গতকালও তার ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। সেখানে দস্যুরা তাদের সঙ্গে বেশ নমনীয় ব্যবহার করছেন।
তিনি আরও জানান, কোম্পানি থেকে জিম্মি জাহাজে ২০টা দুম্বা দেওয়া হয়েছে। ১০টা জিম্মি নাবিকদের আহারের জন্য দেওয়া হয়েছে আর বাকি ১০টা দস্যুরা নিয়েছেন এমনটাই বলেছেন ছেলে সাইদুজ্জামান। সরকারের পদক্ষেপ গ্রহণে তারা বেশ খুশি। তবে খুব তাড়াতাড়ি ছেলেকে ফিরে পেলে পরিবারের বইবে খুশির ঈদ।
সাইদুজ্জামানের স্ত্রী মান্না তাহরিন শতধা বলেন, সুস্থ সবলভাবে সব জিম্মি যেন ঘরে ফিরে আসেন এমনটাই প্রত্যাশা। সরকার ও কোম্পানির পদক্ষেপে যেন কোনো গড়িমসি না থাকে এমনটাই চাওয়া আমাদের। তবে জিম্মি উদ্ধারে সরকারের পদক্ষেপ প্রশংসনীয়। জেলা প্রশাসক মহোদয় নিয়মিত আমাদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি পাশে থাকার জন্য।
জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা জানান, ঘটনার পর পরই সাইদুজ্জামানের পরিবার জেলা প্রশাসনে যোগাযোগ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বরাবর তিনি দরখাস্তও করেছিলেন। সরকার সবসময় এই পরিবারের পাশে থাকবে। সবার পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে জিম্মি নাবিকরা যেন অতি তাড়াতাড়ি ফিরে আসে পরিবারের মাঝে। সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ ক্রুসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। এরপর জাহাজটির দুই দফা অবস্থান পরিবর্তন করে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূলে নিয়ে যায় দস্যুরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০২৪
এসএম