ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু: দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু: দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জ: রাজধানীর সদরঘাটে লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে নিরাপদ নৌপথ চাই নামে একটি সংগঠন।

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৫ নম্বর ঘাট এলাকায় শীতলক্ষ্যার তীরে মানববন্ধনটি অনু্ষ্ঠিত হয়।

নিরাপদ নৌপথ চাই সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি জুয়েল প্রধানের সভাপতিত্বে সেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সভাপতি সবুজ শিকদার। সংঠনের সম্পাদক কবির হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিসির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন চুন্ন মাস্টার প্রমুখ।

মানববন্ধনে সবুজ শিকদার বলেন, পবিত্র রমজান মাসে বিআইডব্লিউটিএ নৌ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মিটিংয়ে আমরা লঞ্চগুলোর শিডিউল নিয়ে হুড়োহুড়ি করে প্রাণহানির বিষয় নিয়ে সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু তখন লঞ্চ মালিকরা বিষয়টা হেসেই উড়িয়ে দিয়েছিলেন। লঞ্চ মালিকরা মানুষকে মানুষ হিসেবে মনে করেন না। তারা যাত্রীদের পণ্য মনে করেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে রামরাজত্ব সৃষ্টি করে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।

একজন যাত্রী তার অন্তঃস্বত্ত্বা স্ত্রীকে নিরাপদে গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য ভিড় এড়াতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন সদরঘাটে স্বপরিবারে এসেছিলেন। কিন্তু দুই লঞ্চের শিডিউল নিয়ে প্রতিযোগিতায় অর্থাৎ কে কার আগে যাবে এই প্রতিযোগিতায় একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজনের প্রাণ গেল। এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড। এর দায় লঞ্চ মালিকদেরও। কারণ তারা প্রভাবশালী হওয়ায় তারা শিডিউল নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করেন না। পাঁচজন প্রাণহানির ঘটনায় শুধু লঞ্চের মাস্টার ম্যানেজারদের গ্রেপ্তার করলে হবে না, নেপথ্যে যারা দায়ী তাদেরও খুঁজে বের করার জন্য তদন্ত কমিটির কাছে দাবি জানাচ্ছি। বিগত দিনে অনেক তদন্ত রিপোর্ট পর্দার আড়ালে ধামাচাপা পড়ে গেছে। এবারও যাতে এমনটি না হয় বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল ৩টার দিকে সদরঘাট ১১ নং পন্টুনের সামনে এমভি তাশরিফ-৪ নামে একটি লঞ্চ ও এমভি পূবালী-১ নামে আরও একটি লঞ্চ দড়ি দিয়ে পন্টুনে বাঁধা ছিল। এ দুইটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে এমভি ফারহান–৬ নামে আরেকটি লঞ্চ ঢুকানোর সময় তাশরিফ-৪ লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে যায়। এতে পাঁচ যাত্রী লঞ্চে ওঠার সময় গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক সবাইকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২৪
এমআরপি/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।