ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩২, ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

আগুনে পুড়ে ছাই চম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:২৭, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
আগুনে পুড়ে ছাই চম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘর

বান্দরবান: বান্দরবানের লামা পৌরসভার চম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের চেরাং ঘরে (বিহারের আবাসিক ভান্তেদের থাকার ঘর) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে দোতলার চেরাং ঘরটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ২টায় বৌদ্ধ বিহারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা করছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় অনেকের ধারণা, চুলা বা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। মারমাদের সাংগ্রাই অনুষ্ঠানের সময় এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বৌদ্ধ বিহারের আয়োজন অনেকটাই ম্লান হয়ে যায়।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে চাম্পাতলী ১২ আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পরে লামা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে লামা উপজেলা আনসার-ভিডিপি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও স্থানীয় জনগণ আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে চেরাং ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

চম্পাতলী বৌদ্ধ বিহারের পৃষ্ঠপোষক অংথোয়াইহ্লা মার্মা জানান, আমরা সবাই বিহারে পূজা অর্চনা করছিলাম। কীভাবে আগুন লেগেছে জানি না, বড় ক্ষতির হাত থেকে বৌদ্ধ বিহার রক্ষা পেয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ পেয়ে লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল, লামা পৌরসভার মেয়র মো. জহিরুল ইসলাম, ১২ আনসার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক নুরে আলম সিদ্দিকী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাহেদ উদ্দিন, মিলকী রাণী দাশসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

লামা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জানান, সংবাদ পাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে আমাদের টিম দুইটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। পরে ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নির্ণয় করা যায়নি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।