ফরিদপুর: ফরিদপুরে যাত্রীবাহী বাস ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় বাসের চালককে (অজ্ঞাতনামা) একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান হাসান।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতেই ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার রুপাপাত ইউনিয়নের কুমড়াইল গ্রামের সাদেক শেখের ছেলে ইমামুল শেখ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি নিহত ইকবাল শেখের ছোট ভাই।
মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে আমার ভাইসহ অন্যরা ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য একটি পিকআপভ্যানে রওনা দেন। পথে কোতোয়ালি থানা এলাকার দিকনগর এলাকায় ফরিদপুর-মাগুরা মহাসড়কে ইউনিক পরিবহন নামে একটি বাসের চালক (অজ্ঞাতনামা) দ্রুত ও বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপভ্যানটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ১১ জন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাই ইকবাল শেখসহ তিনজন মারা যায়। আমি বাসচালকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসানুজ্জামান বলেন, রাতেই নিহতের এক ভাই এজাহার দিয়েছেন এবং মামলা দায়ের হয়েছে। সেখানে বাসটির অজ্ঞাতনামা চালককে আসামি করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় সড়ক পরিবহন আইনের ২০১৮ সালের ৯৮/১০৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। অজ্ঞাত বাসচালককে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। পরে তদন্তে অন্য কারো নাম এলে সেটাও মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একইসঙ্গে নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা এবং আহতদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা করে সরকারের পক্ষ থেকে অনুদান দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে ফরিদপুর-খুলনা মহাসড়কের কানাইপুরের দিগনগরে বাস ও পিকআপভ্যানের সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৪
আরএ