ঢাকা: রাজধানীর ভাষানটেক কালভার্ট রোডে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ শিশু সুজন (৯) মারা গেছে। শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিল সে।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় এখনও বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন সুজনের বড় বোন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ভাষানটেকের ঘটনায় দগ্ধ লামিয়া আজ দুপুরে মারা গেছে। তার শরীরের ৪৩ শতাংশ পোড়া ছিল।
এর আগে একই ঘটনায় শিশু সুজনের মা সূর্য বানু (৩০), বাবা লিটন (৪৮) ও নানি মেহেরুন্নেছা (৮০) বোন শিশু লামিয়া মারা যায়।
তিনি জানান, এ ঘটনায় সুজনের বড় বোন লিজা (১৮) ৩০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। তার শারীরিক অবস্থাও গুরুতর। এ ঘটনায় একে একে একই পরিবারের পাঁচজন মারা গেল।
এর আগে গত (১২ এপ্রিল) শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ভাষানটেক নতুন বাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর বাসায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মো. লিটন, তার স্ত্রী সূর্য বানু, তাদের তিন সন্তান লিজা, লামিয়া, সুজন ও লিটনের শাশুড়ি মেহরুন্নেছা।
তাদের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া ময়না বেগম জানান, পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের দুই তলা বাড়িটির নিচ তলায় ভাড়া থাকতেন লিটন। এ এলাকাতেই ফার্নিচার ব্যবসা আছে তার। রাতে ওই বাসায় সবাই ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে লিটন মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য দিয়াশলাই জ্বালাতেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারটির ছয়জনই দগ্ধ হন।
তিনি জানান, বাসাটিতে গ্যাস দিয়ে রান্না করতেন তারা। সবাই ধারণা করছেন, গ্যাসের লিকেজের কারণে বাসায় গ্যাস জমে ছিল। মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জ্বালাতেই সেই গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া শিশু সুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ ঘটনায় একই পরিবারের একে একে পাঁচজন মারা গেল।
আরও পড়ুন>>
>>> গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন: বাবা-মা-নানীর পর মারা গেল শিশু লামিয়া
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
এজেডএস/আরআইএস