কুমিল্লা: ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সালমা সিদ্দিকা বলেন, অতিরিক্ত গরমে ওষুধের গুণগত মান হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফার্মেসিতে তাপমাত্রা যাচাইয়ের জন্য থার্মোমিটার রাখতে হবে।
রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করা যাবে না। এক্ষেত্রে যথাযথভাবে রেজিস্ট্রার সংরক্ষণ করে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রয় করতে হবে। না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
নকল ও নিম্নমানের ওষুধ প্রতিরোধে কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলায় অবহিতকরণ সভায় তিনি একথা বলেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সভাটি মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) লাকসাম উপজেলা সদরের একটি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন লাকসাম পৌরসভার মেয়র প্রফেসর আবুল খায়ের, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাজিয়া বিনতে আলম, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সালমা সিদ্দিকা, ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শাহজালাল ভুঁইয়া, ঔষধ পরিদর্শক কাজী মোহাম্মদ ফরহাদ, জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ এনায়েতুল্লাহ, সহসভাপতি মোহাম্মদ ফয়েজ। সভায় সভাপতিত্ব করেন লাকসাম উপজেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন শাখাওয়াত।
সভায় ঔষধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শাহজালাল ভুঁইয়া বলেন, যেসব ওষুধের মোড়কে ডিএআর/এমএ নম্বর নেই সেসব অনিবন্ধিত। এধরনের ওষুধ সংরক্ষণ শাস্তিযোগ্য অপরাধ। নকল ওষুধ বিক্রয় প্রতিরোধে হসপিটাল ও ফার্মেসিগুলো পাইকারিভাবে ওষুধ যেন কোম্পানি থেকে সরাসরি বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত ডিপো থেকে সংগ্রহ করে। এক্ষেত্রে পাইকারি ওষুধ ক্রয়ের রশিদ বা ইনভয়েস যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা ও ইনভয়েসে ওষুধের ব্যাচ নম্বর ও বিক্রেতার সুনির্দিষ্ট পরিচয় উল্লেখ থাকা আবশ্যক।
ঔষধ পরিদর্শক কাজী মোহাম্মদ ফরহাদ জানান, ফার্মাসিস্ট বা ফার্মেসি টেকনিশিয়ানের উপস্থিতি ব্যতিরেকে ওষুধ বিক্রয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২৪
আরএ