ঢাকা, সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২০ মে ২০২৪, ১১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ভিআইপিদের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে মিল্টন ছিলেন বেপরোয়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫১ ঘণ্টা, মে ৯, ২০২৪
ভিআইপিদের সঙ্গে যোগাযোগের কারণে মিল্টন ছিলেন বেপরোয়া মিল্টন সামাদ্দার

ঢাকা: অনেক অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (ভিআইপি) সঙ্গে যোগাযোগের কারণে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সামাদ্দার ছিলেন বেপরোয়া। তিনি মনে করতেন তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না।

এদিকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর দুই দফা রিমান্ডে তার বিরুদ্ধে আনা অধিকাংশ অভিযোগই স্বীকার করেছেন মিল্টন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, আমরা মিল্টন সামাদ্দারকে সাতদিনের রিমান্ডে এনেছিলাম। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার বিরুদ্ধে যে-সব অভিযোগ মিডিয়াতে এসেছে তার অধিকাংশই আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। আমরা তার কাছে আশ্রমে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের ডেথ সার্টিফিকেট তৈরির বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম।

মিল্টন নিজেই বলেছেন যে, ভুয়া ডেথ সার্টিফিকেট (মৃত্যু সনদ) তৈরি করে ডাক্তারের সই জাল করে নিজেই সবকিছু লিখে দিতেন। তাছাড়া তার আশ্রমে কোনো ডাক্তার ছিল না। অপারেশন থিয়েটারে তিনি নিজেই ব্লেড-ছুরি দিয়ে কাটাকাটি করতেন।

আর আশ্রমে আসা অধিকাংশ মানুষজনই প্যারালাইজড কিংবা মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ার কারণে অস্বাভাবিক আচরণ করতেন। তখন মিল্টন তাদের পিটিয়ে নিস্তেজ না হওয়া পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা তার কাছে এসব নিরীহ মানুষদের পেটানোর বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, যখন নির্যাতন করা হত তখন তিনি ইয়াবা ও মাদক সেবন করে নিতেন। এতে তখন তার কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকতো না। এ কাজটি যে করা ঠিক হয়নি সেটিও তিনি আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন।

মিল্টনের এসব কর্মকাণ্ডের মূল শক্তি ছিল ভিআইপিদের সঙ্গে ওঠাবসা। তিন মনে করতেন তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না।

তিনটি মামলার মধ্যে দুটি মামলায় মিল্টনকে রিমান্ডে এনেছিলাম। তদন্তের জন্য তার স্ত্রীকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানান ডিবিপ্রধান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, মে ০৯, ২০২৪
পিএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।