বরিশাল: বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে অ্যাপেন্ডিসাইটিসের অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৮) নামের এক তরুণীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১১ মে) দিনগত রাত ১২টায় উপজেলার পশ্চিম সাতলায় মায়ের দোয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উজিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তৌহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, সুমাইয়ার পেটের ডান পাশে ব্যথা হচ্ছিল। তখন তার বড় ভাই রবিউল মীর শনিবার বিকেলে সুমাইয়াকে নিয়ে উপজেলার পশ্চিম সাতলায় মায়ের দোয়া ক্লিনিক অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সুমাইয়ার কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে অ্যাপেন্ডিসাইটিস হয়েছে জানিয়ে রাত সাড়ে আটটায় ক্লিনিকের লোকজন অস্ত্রোপচার করাতে নিয়ে যান। ক্লিনিকের চিকিৎসক সাধন বসু সুমাইয়ার অস্ত্রোপচার করে রাত সোয়া ৯টার দিকে ওই অস্ত্রোপচারকক্ষ থেকে বের হন। তখন সুমাইয়ার স্বজনদের তিনি জানিয়েছেন, রোগীর অবস্থা ভালো নয়। এরপর রাত ১২টার দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সুমাইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় মামলা হবে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক তৌহিদুজ্জামান।
এদিকে নিহতের স্বজনরা জানিয়েছেন, কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করেই ক্লিনিকের লোকজন জানিয়েছেন সুমাইয়ার অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথা হয়েছে। পরে তারা আমাদের অনুমতি না নিয়ে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান এবং অস্ত্রোপচার করেন। তাদের দাবি, রোগ নির্ণয় না করে অস্ত্রোপচার করায় তাদের মেয়ের মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য ক্লিনিক পরিচালক ডা. রেজাউল করিমের মোবাইলফোনে কল করা হয়, কিন্তু তার নম্বর বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এদিকে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানিয়েছেন, রোগী মারা যাওয়া কোনো ধরনের খবর তারা পাননি। নিহতের স্বজনরা যদি অভিযোগ দেন, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
এমএস/এএটি