ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

সারি সারি রিকশার পার্কিংমুক্ত হলো গ্রিন রোড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
সারি সারি রিকশার পার্কিংমুক্ত হলো গ্রিন রোড

ঢাকা: রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা ফার্মগেট ও পান্থপথের সংযোগ সড়ক গ্রিন রোড। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের দুই পাশে রিকশা মেরামতের একাধিক দোকান ছিল।

এসব দোকান ঘিরে সড়ক দখল করে সারিবদ্ধভাবে রিকশা রেখে দেওয়া হতো।

তবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতায় সেই চিত্র পাল্টে গেছে। সপ্তাহব্যাপী অভিযানে সড়কটিতে এখন রিকশা মেরামতের দোকান নেই। বন্ধ করা হয়েছে সারিবদ্ধ রিকশা পার্কিং।

তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগ জানায়, গত এক সপ্তাহব্যাপী অভিযানে ৬১টি রিকশার বিরুদ্ধে ডাম্পিংসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কেই রয়েছে পানি ভবন, আইবিএ হোস্টেল, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকসহ একাধিক কোচিং সেন্টার। জনবহুল এ রাস্তায় এতদিন শতাধিক রিকশার পার্কিংয়ের পাশাপাশি ছিল রিকশা মেরামতের একাধিক দোকান।

প্রায় স্থায়ী হয়ে যাওয়া এ রিকশা লেন ঘিরে ফুটপাতে ছিল আবার একাধিক ভাতের হোটেল। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছিল যে, ফুটপাতে মানুষের হাঁটার অবস্থাও ছিল না।

রোববার (১২ মে) গ্রিন রোডে সরেজমিনে ভিন্ন এক চিত্র চোখে পড়েছে। সেখানে চোখে পড়েনি সারিবদ্ধ রিকশা পার্কিং। ফুটপাতের চিত্রও ছিল ভিন্ন। অবস্থার এ উন্নতিতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পথচারীরা। তারা বলছেন, তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের এ কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তবে এটি যেন স্থায়ী হয়, সে প্রত্যাশা সবার।

তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (এসি) স্নেহাশীষ দাস বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এ সড়ক রিকশার অবৈধ পার্কিংমুক্ত রাখতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা প্রতিদিন সকাল-বিকেল রেকারসহ এ রাস্তায় অভিযান চালাচ্ছি। সড়ক অবৈধ দখলমুক্ত রাখতে আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ট্রাফিক তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোস্তাক আহমদ বলেন, প্রথমে আমরা মাইকিং করে রিকশা মেরামতের দোকান ও পার্কিং লেনের বিষয়ে সতর্ক করি। তারা ভেবেছিল, হয়তো পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেবে না। পরে আমরা অ্যাকশনে যাই, অবৈধ রিকশা পার্কিং বন্ধ এবং রিকশা মেরামতের দোকান উচ্ছেদ করা হয়েছে। বর্তমানে পুরো সড়ক দখলমুক্ত স্বাভাবিক রয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্রাফিক বিভাগের কাজ ড্রাইভওয়ে দখলমুক্ত রাখা। আর ফুটপাত বা ওয়াকওয়ে দখলমুক্ত রাখতে কাজ করবে ক্রাইম ডিভিশন। আমরা সড়কের অবৈধ দখল উচ্ছেদ করার সঙ্গে সঙ্গে ক্রাইম ডিভিশনকে ফুটপাত দখলের বিষয়টি জানিয়েছি। তারাও ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৪
পিএম/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।