ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

দায়িত্বগ্রহণের ৪ বছরে ব্যর্থতাও আছে: মেয়র আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
দায়িত্বগ্রহণের ৪ বছরে ব্যর্থতাও আছে: মেয়র আতিক

ঢাকা: মেয়র হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণের ৪ বছর পূর্তি হয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) নগরপিতা আতিকুল ইসলামের। এ চার বছরে দায়িত্বপালনে ব্যর্থতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে, যারা তাকে ভোট দিয়ে আস্থা রেখেছেন তাদের তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। সবার গঠনমূলক সমালোচনাকে সাদরে গ্রহণ করে সমস্যা উতরানোর পথ বের করার চেষ্টা করছেন বলেও জানান মেয়র।

সোমবার (১৩ মে) গুলশান নগরভবনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের ও কাউন্সিলরদের ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

গত চার বছরে দায়িত্ব পালনে নিজের ব্যর্থতা সম্পর্কে মেয়র বলেন, ব্যর্থতা তো আছেই। আমাদের একটি আধুনিক পশু জবাইখানf করার কথা ছিল। এটি এখন পর্যন্ত আমরা করতে পারিনি। আর সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগে যখন দেখি সবাই আমার চিন্তা করে, আমাদের চিন্তা করে না। এই আমার চিন্তা করে সব শেষ হয়ে গেছে। খাল যখন দেখি দূষণ হয়ে যাচ্ছে, তখন খারাপ লাগে। কীভাবে মানুষ বাথটাব, টেলিভিশন, ফ্রিজ, জাজিম খালের মধ্যে ফেলে দেয়? এতে তো জলাবদ্ধতা হবেই।

এ সময় খাল উদ্ধারে ‘কলাগাছ থেরাপি’ কথা উল্লেখ করেন আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমার মনে শান্তি হচ্ছে না। বাড়ির বর্জ্য যেসব পাইপের মধ্য দিয়ে খালে ফেলা হয়, সেই প্রতিটি পাইপে কলাগাছ ঢুকাতে পারলে মনে শান্তি পেতাম। আমার ব্যর্থতা এখানে। কারণ, কীভাবে বারিধারা, গুলশানের লোকেরা খালের মধ্যে কালো বর্জ্য দিয়ে দিচ্ছে। এটি অত্যন্ত কষ্ট লাগে আমার।

এ সময় সাংবাদিকরা তার সফলতা সম্পর্কে জানতে চান। মেয়র আতিক বলেন, পরীক্ষা যে দেয় সে রেজাল্ট দেয় না। সুতরাং, আমরা পরীক্ষার মধ্যে আছি, আমরা পরীক্ষা দিয়েই যাচ্ছি। পরীক্ষার ফলাফল আমাদের সাংবাদিক ভাইয়েরা দেবেন।

আগামী এক বছরের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি আগামী এক বছরে খালের দিকে ফোকাস দিতে চাই। এই খালগুলোকে পুনরুদ্ধারে আমি বেশি গুরুত্ব দিতে চাই। আমি আমার কাউন্সিলরদের বলেছি, খালের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ কারওয়ান বাজারকে স্থানান্তর করা। এটি আমরা হাতে নিয়েছি, আশা করি এটিও আমরা সফলতার সঙ্গে করতে পারবো। আর ডিএনসিসির ১৮টি ওয়ার্ডকে আমাদের সাজাতে হবে এবং ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে চাই।

সংবাদ সম্মেলনে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব (যুগ্ম সচিব) মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস চৌধুরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ ফিদা হাসান ও বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৪
এসসি/এমএমআই/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।