ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ জুন ২০২৪, ১৭ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সংঘর্ষে মৃত্যুর জেরে গোপালগঞ্জে সড়ক অবরোধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
সংঘর্ষে মৃত্যুর জেরে গোপালগঞ্জে সড়ক অবরোধ

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে ওসিকুর ভূঁইয়া নামে এক যুবক নিহত ও চারজন আহত হওয়ার ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা ওই কর্মসূচি থেকে আগামী রোববার (১৯ মে) জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী।

 

এ অবস্থায় যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা টহল অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চন্দ্রদিঘলিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে স্থানীয়দের সঙ্গে অবরোধে যোগ দেন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের বেশ কিছু সংখ্যক নেতা-কর্মী।  

আন্দোলনকারীরা মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে, টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে নিহত ওসিকুর ভূঁইয়ার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মিছিল-স্লোগান দেন। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা রাস্তা ঘিরে রাখলেও মহাসড়ক অবরোধ ঠেকাতে ব্যর্থ হয়। এতে করে মহাসড়কে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। অবশেষে দুপুর ১টার দিকে আগামী ১৯ মে ডিসি কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে দ্বিতীয়  দিনের মতো মহাসড়ক অবরোধ কর্মসূচি শেষ করা হয়।  

বৃহস্পতিবার  আন্দোলন চলাকালে পরাজিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম লিয়াকত আলী, ছবেদ আলী ভূঁইয়া প্রমুখ বক্তব্য দেন।  

গত ১৫ মে দুপুরে আন্দোলনকারীরা জেলা শহরে শোক র‌্যালি করেন। পরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ শহর তলীর চেচানিয়াকান্দিতে ঘণ্টাব্যাপী মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনগণ। পরে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছা. নাজমুন নাহার ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমানের অনুরোধে অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের জাকির বিশ্বাসের ছেলে পরশ বিশ্বাস (১৯) স্থানীয় চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে চায়ের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ধূমপান করছিলেন।  

এ সময় একই গ্রামের কালু ভূঁইয়ার ছেলে দ্বীপ ভূঁইয়া ও হিদু ভূঁইয়ার ছেলে সিমন ভূঁইয়া তার বাবার সামনে ধূমপান করায় পরশ বিশ্বাসের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে পরশ বিশ্বাসকে চড়-থাপ্পড় মারেন।  পরশ বিশ্বাস এ ঘটনা তার বাবাকে জানালে দুপক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের ছোড়া গুলিতে ওয়াসিকুর ভূঁইয়াসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জুয়েল সরকার ওয়াসিকুর ভূঁইয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।