ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বোয়ালমারীতে গণহত্যায় ৩৩ শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৪ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
বোয়ালমারীতে গণহত্যায় ৩৩ শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি

ফরিদপুর: ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে ৩৩ শহীদের স্মরণে ‘হাসামদিয়া গণহত্যা’ দিবস পালিত হয়েছে।  

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) দুপুরে উপজেলার হাসামদিয়ায় শাহ জাফর টেকনিক্যাল কলেজ চত্বরে ‘শহীদ স্মৃতি স্তম্ভে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ পরিবারের সন্তান, কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

 

এ সময় শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে এক মিনিট নীরবতা পালন শেষে মোনাজাত করা হয়। একই সঙ্গে শহীদ পরিবারের সন্তানেরা গণহত্যায় ৩৩ জন শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জোর দাবি জানান।  

কলেজের অধ্যক্ষ মো. লিয়াকত হোসেন লিটনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় ভার্চ্যুয়ালে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ফরিদপুর জেলার মুজিব বাহিনীর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ মো. আবু জাফর।  

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বোয়ালমারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ রউফ সিদ্দিকী, সহকারী কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক জহুর, গণহত্যার প্রত্যক্ষদর্শী উৎপল দাস, শহীদ পরিবারের সন্তান প্রফেসর দেবাশীষ সাহা, ডা. কাজী তারেক পারভেজ প্রমুখ।  

শহীদ পরিবার ও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১৬ মে তিন শতাধিক পাকসেনার একটি বহর যশোর থেকে রেলযোগে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার চতুল ইউনিয়নের হাসামদিয়া গ্রামে তৎকালীন মুজিব বাহিনীর ফরিদপুর জেলা কমান্ডার শাহ মো. আবু জাফর ও তার নেতৃত্বাধীন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের খোঁজে আসে। তাদের না পেয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর দোসর, মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত পলাতক আসামি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ওরফে বাচ্চু রাজাকার বাহিনীর সহযোগিতায় হাসামদিয়া, রামনগর, রাজাপুর, ময়েনদিয়া, রাজাবেনি, মিঠাপুর পোয়াইলসহ কয়েকটি গ্রামের ৩৩ জন নিরস্ত্র, নিরীহ গ্রামবাসীকে গুলি করে হত্যা করে। এ সময় হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় আগুন ধরিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর। স্থানীয় ময়েনদিয়া বাজারের চালানো হয় লুটপাট। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় ৫০ এর অধিক দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।  

আলোচনা সভায় শহীদ বাসুদেব রাজবংশীর ছেলে স্বন্দীপ রাজবংশী, শহীদ নবদ্বীপ রাজবংশীর ছেলে নিখিল রাজবংশী, শহীদ গোপাল রাজবংশীর ভাগনে গৌর রাজবংশী, শহীদ সুমান্ত রাজবংশীর কন্যা পূর্ণিমা রাজবংশী ও তার ছেলে আপন রাজবংশী উপস্থিত ছিলেন।  

আলোচনা সভায় শহীদ পরিবারের সন্তানেরা গণহত্যায় ৩৩ জন শহীদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির জোর দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।