ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

এমন কোনো অপরাধ করিনি যে শাস্তি পেতে হবে: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৪
এমন কোনো অপরাধ করিনি যে শাস্তি পেতে হবে: সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে মুখ খুলেছেন সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ। তার নিজের ও পরিবারের ওপর ওয়াশিংটন প্রশাসনের এ নিষেধাজ্ঞার খবরে আজিজ আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আল জাজিরায় ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ নামক একটি নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল।

সেটার সঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞা সম্পৃক্ত ওতপ্রোতভাবে।

দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদ ও তার পরিবারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সোমবার (২০ মে) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর একটি বিবৃতি দেয়।  

আজিজ আহমেদ জানান, এক বন্ধুর মাধ্যমে মঙ্গলবার (২১ মে) সকালে বিষয়টি জেনেছেন তিনি। সাবেক এ সেনাপ্রধান বলেন, ‘সকালে আমার এক বন্ধু কপিটি পাঠিয়েছে। তার মাধ্যমেই বিষয়টি (নিষেধাজ্ঞা) জেনেছি। ’

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেওয়া বক্তব্যে আজিজ আহমেদ বলেন, ‘প্রথম অভিযোগ হলো- আমি আমার ভাইকে বাংলাদেশের যে আইন আছে, তার (ভাই) অপরাধ কর্মকাণ্ড থেকে সে যেন এড়িয়ে চলতে পারে; সেজন্য আমি আমার পদ-পদবি ব্যবহার করে তাকে সহযোগিতা করে করাপশন করেছি। এর উত্তর হলো- আমার সেই ভাই আমি জেনারেল হওয়ার অনেক আগেই বিদেশে। সে বৈধ পাসপোর্ট ব্যবহার করেই গিয়েছে। এখানে আমার পদ-পদবি ব্যবহার করে দেশের প্রচলিত আইন ফাঁকি দেওয়ার বিষয়ে সহযোগিতা করেছি, এটা সঠিক নয়। ’

‘দ্বিতীয় অভিযোগ, আমি আমার ভাইকে মিলিটারি কন্ট্রাক্ট দিয়ে ঘুষ নিয়ে দুর্নীতি করেছি। কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে আমি বিজিবি এবং সেনাবাহিনীর প্রধান থাকা অবস্থায় আমার ভাইকে বা কোনো আত্মীয়কে কন্ট্রাক্ট দিয়েছি, এটা যদি প্রমাণ করতে পারে সেক্ষেত্রে আমি কনসিকোয়েন্স মেনে নিতে প্রস্তুত আছি। ’

আজিজ আহমেদ বলেন, ‘আমি এমন কোনো অপরাধ করিনি যে, শাস্তি পেতে হবে। তারা আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তুলেছে তার কোনো প্রমাণ থাকলে আমাকে দিক। ’

বিবৃতিতে যা বলা হয়
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের বিবৃতিতে বলা হয়, আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।

এতে আরও বলা হয়, আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহি এড়াতে সহযোগিতা করেন। এটি করতে গিয়ে তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়ান।  

এ ছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কন্ট্রাক্ট পাওয়া নিশ্চিত করার জন্য তিনি নিজের ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেন। তিনি নিজ স্বার্থে সরকারি নিয়োগে ঘুষ নেন বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।

আজিজ আহমেদ ২০১৮ সালের ২৫ জুন থেকে ২০২১ সালের ২৪ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।