ফরিদপুর: প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালে ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা লণ্ডভণ্ড ও উপড়ে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। তা ছাড়া রোববার (২৬ মে) মধ্যরাত থেকে জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
রোববার রাত থেকে শুরু হওয়া ঝড়-বৃষ্টি ও বাতাস সোমবার (২৭ মে) রাত পর্যন্ত চলছে।
জেলার সদরপুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়নে ৮-৯টি কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চরভদ্রাসন উপজেলার ঝাউকান্দা এলাকার দুটি ঘর ঝড়ে পড়ে গেছে। এছাড়া জেলায় ঝড়ে আর কোনো ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
জেলার সব মহাসড়ক স্বাভাবিক রয়েছে। গাছপালা ও গাছের ডাল ভেঙে অনেক গ্রামীণ সড়কে যান চলাচল কিছুটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। তবে, বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে। সদরপুর উপজেলার চর নাসিরপুরে ৪/৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক লাইনের তারের ওপর গাছের ডালপালা ভেঙে পড়া, খুঁটি হেলে পড়া, ট্রান্সমিটার বিকলসহ বিভিন্ন স্থানে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত ফরিদপুর সদর ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার পৌরসভায় বিদ্যুৎ চালু করা গেলেও অন্যান্য উপজেলায় সম্ভব হচ্ছে না। ক্রমান্বয়ে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।
ভাঙ্গা উপজেলার সাইফুল্লাহ শামীম বাংলানিউজকে বলে, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকার পাশাপাশি মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্কও মাঝে মধ্যে সমস্যা করছে।
বোয়ালমারী উপজেলার তৈয়বুর রহমান কিশোর বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের উপজেলার বেশকিছু এলাকায় গাছপালার ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাড়ি-ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তবে, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবু নাসের মোহাম্মদ বাবর বাংলানিউজকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে জেলার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামরুল আহসান তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, ঝড়ে ফরিদপুরে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, চরভদ্রাসনে দুটি বাড়ি ও কিছু জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়া ও ডালপালা ভেঙে গিয়েছে। এছাড়া কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। সেখানে অতিদ্রুত বিদ্যুৎ সাপ্লাই দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩৫ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৪
এমজে