ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

শাহিনকে ফেরাতে ভারতীয় পুলিশের সহায়তা চেয়েছে ডিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
শাহিনকে ফেরাতে ভারতীয় পুলিশের সহায়তা চেয়েছে ডিবি

ঢাকা: এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড আক্তারুজ্জামান শাহিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন বলে ধারণা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)। যেহেতু ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে, তাই শাহীনকে ফেরাতে ভারতের পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) বিকেলে কলকাতা থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, এই ঘটনার মূল মদতদাতা শাহিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তি রয়েছে। তাই শাহিনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে বলেছি। এছাড়া, আমাদের আইজিপি স্যারের মাধ্যমে ইন্টারপোলকে জানানো হয়েছে। আমরাও আন-অফিশিয়ালি বাংলাদেশে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছে সহযোগিতা চাইব।

তিনি বলেন, সিয়াম নামে এক অভিযুক্ত বর্তমানে নেপালের কাঠমান্ডুতে রয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরে এই বিষয়ে নেপাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আমরাও কাঠমান্ডুতে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাসের সঙ্গে আনঅফিসিয়ালি যোগাযোগ রাখছি।

ডিবিপ্রধান বলেন, আনোয়ারুল আজীম আনারকে গত ১৩ মে কলকাতার মাটিতে হত্যা করা হয়েছে।  এ সংক্রান্তে বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতায়ও একটি হত্যামামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে তিনজন ঘাতক গ্রেপ্তার রয়েছেন। এর মধ্যে মূল ঘাতক হলেন আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভূঁইয়া।

তিনি আরও বলেন, হত্যার পরিকল্পনা হয়েছে বাংলাদেশের মাটিতে আর হত্যাটি সংগঠিত হয়েছে কলকাতায়। মামলাটির তদন্তের জন্য আমরা কলকাতায় গিয়েছি। আমাদের কাছে গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের দেওয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করতে ও ঘটনাস্থলের ডিজিটাল এভিডেন্সগুলো দেখতে আমরা সেখানে গিয়েছিলাম।

হারুন বলেন, মামলায় ভিকটিমের মরদেহ বা মরদেহের অংশ বিশেষ না পাওয়া গেলে তদন্তকারী কর্মকর্তার সুরতহাল, ভিসেরা ও মেডিকেল রিপোর্ট দিতে বেগ পেতে হয়। এগুলো না পাওয়া গেলে মামলাটি নিষ্পত্তি করাও অনেক কঠিন হয়ে যায়। আমরা সেখানে গিয়ে আমাদের হাতে গ্রেপ্তার আসামিদের তথ্য ক্রসচেক করেছি এছাড়া কলকাতায় গ্রেপ্তার আসামির তথ্য যাচাই-বাছাই করেছি। কলকাতা সিআইডিকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং আসামিদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য মেলানোর চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, আমরা কলকাতার পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম সুয়ারেজ লাইন ও সেপটিক ট্যাংক ভেঙে দেখার জন্য। আমরা মনে করি, সেখান থেকে ভিকটিমের মরদেহের খণ্ডাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। ভারতীয় পুলিশ ফরেনসিক ও ডিএনএ পরীক্ষা করে এ বিষয়ে জানাবে। আমরা প্রাথমিকভাবে মনে করছি মরদেহের খণ্ডাংশগুলো এমপি আনারের।

উদ্ধার হওয়া মাংসের খণ্ড অংশগুলোর ডিএনএ টেস্ট কবে হবে জানতে চাইলে ডিবিপ্রধান বলেন, কলকাতা পুলিশ এটা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে করবে বলে আমাদের জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০২৪
পিএম/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।