ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

কোরবানি ঈদের আকর্ষণ জাবি অধ্যাপকের ‘কালা মানিক’ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৪ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৪
কোরবানি ঈদের আকর্ষণ জাবি অধ্যাপকের ‘কালা মানিক’  কালা মানিক

সিরাজগঞ্জ: কোরবানি ঈদের হাটে বিক্রির জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত হয়েছে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার সাড়ে ৩২ মণ ওজনের ষাঁড় ‘কালা মানিক’। ষাঁড়টির দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা।

উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের নান্দিনা মধু গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আলী আজহার তালুকদারের ছেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদারের খামারে বেড়ে উঠেছে ষাঁড়টি।  

দানবাকৃতির ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়টির গায়ের রঙ কুচকুচে কালো হওয়ায় এর নাম রাখা হয়েছে কালা মানিক। প্রায় ৫ বছর বয়সী ষাঁড়টির ওজন ১ হাজর ৩০০ কেজি। এটি লম্বায় ১০ ফুট ও উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শখের বসে নিজ বাড়িতে গরুর খামার করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদার। তার খামারে বর্তমানে মোট ৯টি বিশালাকৃতির ষাঁড় পালন করা হচ্ছে। কালা মানিক ছাড়াও ৮০০ কেজি ওজনের শাহীওয়াল জাতের আকাইসুর এবং ৭০০ কেজির ওজনের আরও ৭টি ষাঁড় রয়েছে।  

আগামী পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর হাটে কালা মানিক, আকাইসুরসহ মোট ৮টি ষাঁড়কে বিক্রির জন্য তুলবেন ড. আলী আজম।  

এদিকে কালা মানিকসহ বিশালাকৃতির এতো ষাঁড় একসঙ্গে দেখার জন্য প্রতিদিন লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন অধ্যাপকের খামারবাড়িতে।

অধ্যাপক ড. আলী আজম তালুকদার বলেন, শখের বসে এই গবাদিপশুর খামারটি তৈরি করেছি। এখানে কোনো প্রকার ওষুধ ছাড়াই আমার নিজস্ব গবেষণা প্রক্রিয়ায় দানাদার খাদ্যগুলো পাউডার ফর্মে এনে এরপর ব্যাকটেরিয়া দিয়ে গাঁজানো প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ৬ থেকে ১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখি। সেগুলো ষাঁড়গুলোকে খেতে দেওয়া হয়। এরসঙ্গে
দেওয়া হয় কাঁচা ঘাস এবং সাইলেস। আমার চিন্তাধারা সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশের গবাদিপশুকে খাদ্য দেওয়া।

তিনি আরও বলেন, অনেক আদর করে কালা মানিককে লালন-পালন করা হয়েছে। এ ষাঁড়টিকে বিক্রির জন্য দাম চেয়েছি ১৫ লাখ টাকা। ব্যবসার জন্য খামার দিইনি; শখ আমার। তাই যদি কেউ কিনতে চান তাহলে অবশ্যই আলোচনার মাধ্যমে দাম কমানো যাবে।

কামারখন্দ উপজেলা প্রাণী ও পশুসম্পদ অফিসার ভ্যাটেরিনারি সার্জন ডা. মো. ফরহাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, এবারের কোরবানি ঈদে কামারখন্দ উপজেলায় ১ হাজার ৩০৩টি খামারে মোট ১১ হাজার ২২০টি গরু ও ৪৩ হাজার ১২০টি ছাগল ও ভেড়া হৃষ্টপুষ্ট করণ করা হয়েছে। এগুলোকে আসন্ন কোরবানি ঈদের পশুর হাটে প্রায় ১ হাজার ৭৭ কোটি টাকায় বিক্রি করা যাবে। এর মধ্যে কামারখন্দের কালা মানিক সবচেয়ে বড় ষাঁড়। এটি সুঠাম দেহের অধিকারী। যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে এতো বিশাল আকৃতির ষাঁড় হয়েছে। আশা করছি কোরবানির পশুর হাটে কালা মানিক ষাঁড়ের মালিক ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২৪
এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।