বরগুনা: ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়ে চলে গেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এর প্রভাবে ক্ষতির শিকার হয়েছেন উপকূলীয় জেলাগুলো।
তবে ঝড়ে চরের কাঁচা টয়লেটগুলো ভেঙে পড়ায় আর খাবার পানি সংরক্ষণে প্রতি বাড়িতে থাকা ড্রামগুলো ভেসে যাওয়ায় তৈরি হয়েছে বিশাল মানবিক সংকট। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের যাতে টয়লেট ও বিশুদ্ধ পানির সমস্যা দূর হয় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
পাথরঘাটা উপজেলা সদয় ইউনিয়নের চর লাঠিমার এলাকার আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের টয়লেটগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আমরা খোলা স্থানে প্রস্রাব-পায়খানা করি নিরুপায় হয়ে। ঘূর্ণিঝড়ের পরে আমাদের অসুখ-বিসুখ তুলনামূলক বেড়ে গেছে। অনেকে বলছেন এগুলো পানিবাহিত রোগ।
সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ক্ষতি হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় স্বাস্থ্যসম্মত বাথরুমের অভাবে কিশোরীরা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। কিশোর-কিশোরীদের সমস্যা নিরসনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের মনিটরিংয়ের সমস্যা রয়েছে।
জেলা জনস্বাস্থ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রইসুল ইসলাম জানান, বরগুনায় স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছ সাত হাজার ৬৩০টির মতো। এখন রিমেলে তাণ্ডবের পরে জনস্বাস্থ্য বিভাগ উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট জেরিকান, নলকূপ উঁচুকরণ, হাইজেনকিটস,ব্লিচিং পাউডার ও সেনিটেশনের জন্য অস্থায়ী টয়লেট স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩২ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২৪
এসএএইচ