চুয়াডাঙ্গা: স্ত্রীকে চিকিৎসার জন্য গ্রাম্য কবিরাজের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন রুবেল মিয়া। কিন্তু ওই কবিরাজ চিকিৎসার নামে সম্ভ্রমহানি করেন তার স্ত্রীর।
চুয়াডাঙ্গার কবিরাজ রাজ্জাক শেখ রাজাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মূল আসামি হিসেবে রুবেল ও সহযোগী হিসেবে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান।
তিনি বলেন, হত্যার শিকার রাজ্জাক শেখ রাজাই কবিরাজি করতেন। রুবেল মিয়া ও তার স্ত্রী চিকিৎসার জন্য কবিরাজের কাছে যান। গত ৩১ মে সন্ধ্যায় আব্দুর রাজ্জাক জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়ার কথা বলে রুবেল ও তার স্ত্রীকে সদর থানার হোগলডাঙ্গা গ্রামের নবগঙ্গা ব্রিজ সংলগ্ন পানের বরজের কাছে নির্জন জায়গায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে রুবেলকে সিগারেট আনতে দোকানে পাঠান তিনি। কিছুক্ষণ পর রুবেল সেখানে ফিরে এসে কবিরাজ ও তার স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে স্ত্রীর মোবাইল ফোনে কল দেন। কিন্তু ফোন বন্ধ পেয়ে তিনি আশপাশে তাদের খুঁজতে শুরু করেন রুবেল। খোঁজাখুঁজির ৩৫/৪০ মিনিট পর কবিরাজ ও রুবেলের স্ত্রী আগের স্থানে ফিরে আসেন। এসময় রুবেল তাদের দেখে সন্দেহ করেন যে তারা অনৈতিক কাজ করেছেন। পরে বাড়ি ফিরে রুবেল জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার স্ত্রী কান্নাকাটি করেন এবং জানান যে কবিরাজ চিকিৎসার নামে তার সম্ভ্রমহানি করেছেন।
ওই দিন রাতে সোহেল রানাকে সঙ্গে নিয়ে কৌশলে কবিরাজকে ডেকে নেন রুবেল। পরে কবিরাজকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে মোটরসাইকেল থেকে রাস্তায় ফেলে দেন তিনি।
এ ঘটনায় ব্যবহৃত ধারালো ছুরি, মোটরসাইকেল ও ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন আলামত হিসেবে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার সুবদিয়া গ্রামের আব্দুর সেলিমের ছেলে রুবেল মিয়া (২৩) ও একই এলাকার আনিসের ছেলে সোহেল রানা (২০)।
গত ১ জুন সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ-জুগিরহুদা রাস্তার পাশের একটি মাঠ থেকে আব্দুর রাজ্জাক শেখ রাজাই (৫০) নামে এক কবিরাজের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২৪
এসআই