ঢাকা, মঙ্গলবার, ৪ আষাঢ় ১৪৩১, ১৮ জুন ২০২৪, ১০ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

গাবতলীতে বেড়েছে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড়

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
গাবতলীতে বেড়েছে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় ছবি: জি এম মুজিবুর

ঢাকা: ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র এক দিন। ঈদ উপলক্ষে বাড়ি ফেরা মানুষের ভিড় থাকলেও, নেই আগের মতো উপচে পড়া ভিড় বলে জানিয়েছে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।

তবে তারা বলছেন, ঈদের আগের দিন একটু ভিড় হতে পারে।

শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালে এমনই চিত্র দেখা যায়।

টার্মিনাল ও আশপাশে ঘুরে দেখা যায়, গাবতলীর প্রধান সড়কের সামনের ফুটপাত ও কাউন্টারগুলোর সামনে বাড়ি ফেরা মানুষদের ভিড় সব থেকে বেশি।

উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে হাজারো মানুষ ও শত শত দূরপাল্লার যানবাহন। এছাড়া যাত্রীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। অন্য দিকে বাসগুলোর কর্মীদের হাঁকডাক দিতে দেখা গেছে।

মো. আরমান পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুর যাচ্ছেন গোল্ডেন লাইন পরিবহনে।

তিনি বলেন, অন্য সময় ৩৫০ টাকা ভাড়া হলেও আজ নিচ্ছে ৫০০ টাকা। ভেঙে ভেঙে কম খরচে যেতে পারতাম। কিন্তু সঙ্গে রোগী থাকায় ভেঙে গেলাম না।

চাকরিজীবী আমিনুল হক বলেন, প্রতি ঈদেই পরিবহনের লোকেরা ভাড়া বেশি নেয়। চার্টের কথা বলে, এ চার্টেই থেকেও ভাড়া বেশি রাখা হয়েছে।

গাবতলীর সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মো. আহমেদ হাওলাদার বলেন, আমাদের ভাড়া বেশি রাখার সুযোগ নাই। বিআরটিএ, পুলিশ, মিডিয়া সবাই আছে। এক টাকা বেশি রাখার সুযোগ নেই।

কাউন্টারে যাত্রী কম জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সকালে ৮টা গাড়ি টার্মিনাল ছেড়ে গেছে। সবগুলোই যাত্রী পূর্ণ করে গেছে। দুপুরে আরও ২টা গাড়ি আছে।

তিনি বলেন, আমরা বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে যাই। পদ্মা সেতু হওয়ার পরে আমাদের যাত্রী কমে গেছে।

গোপালগঞ্জগামী সেবা পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মিজানুর রহমান বলেন, এবার অনেক যাত্রীরা আগেই বাড়ি গেছেন। অতিরিক্ত যাত্রী না হওয়ায় আমরা ট্রিপের বাইরে নতুন কোনো বাস নামাতে পারিনি।

গাবতলীর হানিফ এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার মো. জুয়েল হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, আজ যাত্রীদের চাপ নেই। রোববার চাপ হতে পারে। এখানে আগের মতো যাত্রীদের চাপ নেই। বেশিরভাগ যাত্রী এখন সায়দাবাদ হয়ে যাচ্ছে। শিডিউল অনুযায়ী আমাদের গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
এমএমআই/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।