ঢাকা, শুক্রবার, ৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ জুন ২০২৪, ১৩ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

‘ঝুঁকি হলেও ঈদে মোটরসাইকেল ভ্রমণ আনন্দদায়ক’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
‘ঝুঁকি হলেও ঈদে মোটরসাইকেল ভ্রমণ আনন্দদায়ক’

মানিকগঞ্জ: টিকিট কাটা, পরিবহনের স্টাফদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ানো, মহাসড়কে ভোগান্তির হাত থেকে মুক্তি পেয়ে নির্বিঘ্নে ঈদে বাড়ি যাওয়ার উত্তম মাধ্যম হলো মোটরসাইকেল। যখন ইচ্ছা বাইক থামিয়ে বিশ্রাম করে নেওয়া যায়।

কিছুটা ঝুঁকি হলেও ঈদে অন্যান্য মাধ্যমে ভ্রমণের চেয়ে মোটরসাইকেল ভ্রমণ আনন্দদায়ক। মজার বিষয় হলো, রাস্তায় রাস্তায় আঞ্চলিক খাবারগুলো খেতে খেতে বাড়ি যাওয়া যায়- কথাগুলো বলছিলেন যশোরগামী বাইকার আকিব হাসান।

শনিবার (১৫ জুন) ভোর থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের মানিকগঞ্জ অঞ্চল হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার ঘরমুখো মানুষ পাটুরিয়া ঘাট অভিমুখে ছুটে আসছেন। পাটুরিয়া ফেরি ঘাট পয়েন্টের পর্যাপ্ত ফেরি থাকলেও, তেমন নেই দূরপাল্লার যানবাহন। তবে কাটা লাইনের যাত্রী ও মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা নদী পাড়ি দিচ্ছে ফেরিগুলো।

জানা যায়, ঈদে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন নির্বিঘ্নে পারাপারের জন্য বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) এবং বাংলাদেশ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ১৮টি ফেরি এবং আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ৫টি ফেরি পদ্ম ও যমুনা নদীতে চলাচল করছে। একইভাবে পাটুরিয়ায় ২০টি এবং আরিচা বন্দরে ১৩টি লঞ্চ (কাটা গাড়ি) লোকাল যাত্রী পারাপারের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

ঈদে ঘরমুখো ফরিদপুরগামী মোটরসাইকেল আরোহী আব্দুল মালেক নামের এক ব্যক্তি বলেন, আমরা স্বামী-স্ত্রী দুই জন মোটরসাইকেলযোগে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। মোটরসাইকেল ভ্রমণটা আনন্দদায়ক। এ কারণেই একটু ঝুঁকি হলেও (মোটরসাইকেল ভ্রমণ) এটাকে বেছে নিয়েছি। ভ্রমণ অবস্থায় নিজেদের ইচ্ছামতো রাস্তায় বিশ্রাম করার সুযোগ রয়েছে, যার ফলে এই ভ্রমণটা দিন দিন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।

মাদারীপুরগামী যাত্রী হাসনাত আবদুল্লাহ নামের একজন বলেন, ভোর বেলায় রওনা হয়েছি সাভার থেকে। আমি পোশাক কারখানায় চাকরি করি। গতকাল আমাদের কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি দিয়েছে। পরিবার পরিজন নিয়ে একটি মিনি বাসে করে পাটুরিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছি, তুলনামূলকভাবে গতবারের চেয়ে এবারের ভাড়াটা একটু বেশি মনে হলেও কোনো ভোগান্তি ছাড়াই পৌঁছাতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট পয়েন্টের বাণিজ্য বিভাগের এজিএম আব্দুস সালাম বলেন, ভোর থেকেই মোটরসাইকেল আরোহীর অনেকাংশেই নদী পার হয়েছে। তবে এখন কিছু কিছু করে দূরপাল্লার যানবাহনগুলো ঘাট এলাকায় আসছে। ঈদে নির্বিঘ্নে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহন পারাপারের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে মহাসড়কে বাড়তি যে পরিমাণ যানবাহনের চাপ থাকার কথা সেই তুলনায় অনেকাংশেই কম যানবাহন চলাচল করছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঈদে ঘরমুখো মানুষগুলো পদ্মা সেতু হয়েই তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০২৪
এসআইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।