ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ জুন ২০২৪, ২১ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

৫ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা র‌্যাব ডিজির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
৫ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা র‌্যাব ডিজির

ঢাকা: পাঁচ কাজ গুরুত্ব দিয়ে শুদ্ধাচার নীতির ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) নব নিযুক্ত মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।

রোববার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা র‌্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত র‌্যাব ফোর্সেসের পাঁচ দফা দিক নির্দেশনা ও কর্মপন্থা ঘোষণা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

সংবাদ সম্মেলনে উগ্র জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস নির্মূল, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার এবং কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়।

র‌্যাব ডিজি হারুন অর রশীদ বলেন, র‍্যাবের প্রতি মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস আছে সেটা আমরা আরও বাড়াতে চাই। সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালনে প্রত্যেকটি ব্যাটালিয়নকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। র‌্যাবের প্রতিটি সদস্যকে সবক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা বজায় রাখা, চেইন অব কমান্ড অনুসরণ এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজ থেকে বিরত থাকার বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনো র‌্যাব সদস্য যদি আইন বহির্ভূত কাজ করেন বা অসৎ উদ্দেশ্যে কিছু করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

র‍্যাব ডিজি বলেন, আজকে সিও (অধিনায়ক) পর্যায়ে কনফারেন্স ছিল। আমি তাদের পাঁচটি বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। এলিট ফোর্স হিসেবে র‍্যাবকে উদ্ভাবনী হতে হবে। মানুষকে সেবা দেওয়া, অপরাধ দমন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, জঙ্গি সন্ত্রাস দমন, মাদক উদ্ধারসহ অভিযানিক কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার নির্দেশনা দিয়েছি। এ জন্য প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে র‍্যাবকে স্মার্ট বাহিনী হিসেবে কর্মপরিধি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ সময় তিনি কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।

মানবাধিকার সমুন্নত রাখার ব্যাপারে নবাগত র‌্যাব ডিজি বলেন, আমরা মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে চাই। র‌্যাবের কোনো সদস্য অবশ্যই মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো কাজে জড়াবে না। কোনো সদস্য যদি কারো মানবাধিকার হরণ করতে চায়, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে র‌্যাব ডিজি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধের মাধ্যমে দেশের প্রকৃত আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য একটি সুশাসন ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির ঘোষণা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী দুর্নীতির বিরুদ্ধে র‌্যাবের দৃঢ় অবস্থান পুনঃব্যক্ত করেন তিনি।

তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে দরকার সামাজিক আন্দোলন। গণমাধ্যম আশা করবো পাশে থাকবে। আমি গণমাধ্যমের অংশীদারিত্ব চাই। গণমাধ্যমের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। অনেক ক্ষেত্রে গণমাধ্যমই আগে জেনে যায়।

কিশোর গ্যাং কালচারের নেপথ্যে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা তাদের ব্যাপারে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে জানতে চাইলে র‍্যাব ডিজি বলেন, কিশোর গ্যাং কালচার নির্মূল। সাসটেইনেবল সমাজ প্রতিষ্ঠায় গ্যাং কালচারে জড়ানো কিশোরদের সংশোধন করে মূলধারায় কীভাবে আনা যায় সে চেষ্টা করবে র‌্যাব। আর অপরাধ করে ও সহায়তা করে তারা দুইপক্ষই সমান অপরাধী। অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২৪
এসজেএ/এফআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।