ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ জুলাই ২০২৪, ২৪ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতির দিকে: হাফিজ উদ্দিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৪
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতির দিকে: হাফিজ উদ্দিন

ঢাকা: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯০ শতাংশই দুর্নীতির দিকে বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধী দল ও জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য (এমপি) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।  

মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কি হবে বলেও মন্তব্য করেন জাপার ওই সংসদ সদস্য।

শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে অর্থবিল ২০২৪ এর সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।  এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, কাস্টমসে যারা চাকরি করে তাদের প্রত্যেকের ঢাকা শহরে দুইটা-তিনটা বাড়ি। বন বিভাগের যারা চাকরি করেন তাদের দুইটা-তিনটা করে সোনার দোকান। প্রধানমন্ত্রী যদি পদক্ষেপ নেন তাহলে দুর্নীতিরোধ করতে পারব। নাহলে যে হারে লাগামহীনভাবে বড় বড় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতি করছেন, আমরা কি করব? আমরা অসহায়। অনেক সরকারি কর্মকর্তা আছেন তারা অসহায়। কারণ এখানে ৯০ শতাংশ লোকই ওইদিকে (দুর্নীতি), ১০-১৫ শতাংশ লোক ভালো থেকে কি করবে?  

তিনি বলেন, নির্বাচনের সময় আমার কি সম্পদ আছে তা হলফনামায় দিয়ে থাকি। তারপর পাঁচ বছর পরে নির্বাচনে আবার হলফনামা দিই। সেখানে সম্পত্তি কত বাড়ল, ১শ গুণ না ৫শ গুণ বাড়ল তা পত্রিকায় নিউজ হয়। আমাদের আমলানামা চলে আসে। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা প্রথমে চাকরিতে ঢুকেন তাহলে তারা যদি হলফনামা দিতেন, তারপর ৫-১০ বছর হলফনামা দিতে এবং তাদের আলোচনা-সমালোচনা হত তাহলে দুর্নীতির চাবিটা বন্ধ হত, নাহলে বন্ধ হবে না। সরকার অনেক প্রশংসা পেয়েছে। কিন্তু শুধু দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে সোনার অক্ষরে যেভাবে ইতিহাসে বঙ্গবন্ধুর নাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নামও সেভাবে লেখা থাকবে। পদক্ষেপ নিলে দুর্নীতিরোধ সম্ভব হবে। এমপি সাহেবদের যেভাবে আমলনামা আছে, প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আমলনামা তৈরি করা হয় তাহলে মনে হয় দুর্নীতিরোধ করা যাবে। আমার বাড়ি যে উপজেলায় সেখানে বাড়িকে অফিস হিসেবে ব্যবহার করি। কিন্তু আরেক উপজেলায় বসার জায়গাও নেই। হয় ইউএনও সাহেবের পাশে টেবিল নিয়ে বসতে হয়। এজন্য প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় এমপিদের জন্য অফিস করে দেওয়ার অনুরোধ। নির্বাচনী এলাকায় অনেক সালিশ-বিচার করতে হয়। অনেক সমস্যার সমাধান দিতে হয়। এলজিডিসহ বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে বসতে হয়। সেজন্য অফিস থাকলে ভালো হয়।

বাংলাদেশ সময় ২১১১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২৪
এসকে/এমইউএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।