ঢাকা: কানাডা বাংলাদেশে চলমান পরিবেশ ও জলবায়ু সহযোগিতা জোরদার করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ ও কানাডা একসঙ্গে কাজ করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস সোমবার (১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রীর দপ্তরে বৈঠক করেন। বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন এবং অভিযোজন নিয়ে আলোচনা করা হয়। উভয়পক্ষ পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা অগ্রসর করার প্রতিশ্রুতি জোরদার করে।
পরিবেশমন্ত্রী জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানসহ জলবায়ু এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বৈশ্বিক সংহতি ও সহানুভূতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
ব্লকচেইন, আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বিকল্প জলবায়ু প্রযুক্তির মতো ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি কার্যকরী দল গঠন করার পাশাপাশি এমসিপিপিতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। কানাডা-বাংলাদেশ জলবায়ু অংশীদারত্ব এবং ভবিষ্যতের কপগুলিতে প্রতিনিধিত্বের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
হাইকমিশনার নিকোলস জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতার জন্য কানাডার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন, সহায়তার পুনরাবৃত্তি এড়াতে খাতভিত্তিক কর্মকাণ্ডের ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, কানাডা প্রযুক্তি, গবেষণা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং যুবকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং অংশীদারত্ব বাড়াতে চায়। চিকিৎসা ও ই-বর্জ্য মোকাবিলা এবং জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা শেষ করার দিকে এগিয়ে যাওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেন তিনি।
এ ছাড়া প্রযুক্তি স্থানান্তর, জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং অভিযোজন প্রকল্পগুলোর মতো অগ্রাধিকারগুলো উল্লেখ করেন এবং বাংলাদেশের জলবায়ু উদ্যোগগুলোর জন্য কানাডার সমর্থন এবং পরিবেশগত স্থিতিশীলতার জন্য তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২৪
জিসিজি/আরএইচ