ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২৬ জিলহজ ১৪৪৫

জাতীয়

৬১১টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, সংসদে পরিবেশমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০২৪
৬১১টি অবৈধ ইটভাটায় অভিযান, সংসদে পরিবেশমন্ত্রী

ঢাকা: চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে ২৪ জুন পর্যন্ত ৫ মাসে সারা দেশে ১৭০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন। অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করে ১৫.০৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার (০২ জুলাই) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনের এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এ তথ্য জানান। এ সময় অধিবেশনে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। মঙ্গলবারের প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বর্তমানে সারা দেশে মোট ৬ হাজার ৮৭৬টি ইটভাটা রয়েছে। পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, এনফোর্সমেন্ট অভিযান ও নিয়মিত মামলা দায়েরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১০০ কর্মদিবসের অগ্রাধিকার কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, যেখানে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ দূষণ নিয়ন্ত্রণে নানাবিধ কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ওই কর্মপরিকল্পনার আওতায় ১০০ কর্মদিবসের মধ্যে ন্যূনতম ৫০০টি বায়ুদূষণকারী অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি হতে দেশব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম শুরু করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় ২৪ জুন পর্যন্ত সারা দেশে মোট ১৭০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৬১১টি অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে ১৫ দশমিক ০৮ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে এবং ২৫০টি ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯)’ এর আলোকে সরকার বায়ুদূষণ রোধ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার পর্যায়ক্রমে হ্রাস করার উদ্দেশ্যে সড়ক ও মহাসড়ক ব্যতীত সকল সরকারি নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে ইটের বিকল্প হিসাবে পরিবেশবান্ধব ব্লক ব্যবহারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ব্লকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তর বা সংস্থাসমূহ ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট অংশীজনের সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়া সারা দেশে মাটি বহনকারী ট্রাকের চাপায় দেশের সকল রাস্তাঘাট নষ্ট হওয়া প্রতিরোধে সরকারের পক্ষ থেকে নজরদারি আরও জোরদার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২৪
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।