মৌলভীবাজার: বুধবার (৩ জুলাই) সারাদিন মৌলভীবাজারে মনু, জুড়ী, ধলাই ও কুশিয়ারাসহ ছোট-বড় সব নদ-নদীতেই পানি ছিল উঠানামার মধ্যে। তবে বুধবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল পর্যন্ত পানি আরও কমেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মনু নদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমা থেকে ২৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড এমন তথ্য জানিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পানি আরও কমবে আশা করা হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবশেষ দেওয়া তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় মনু নদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানির পরিমাণ ছিল ১১ দশমিক ৫ সেন্টিমিটার। সকালে যা ছিল ১১ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার। মনুর রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৬০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ধলাই নদী রেলওয়ে ব্রিজ পয়েন্টে বিকেলে বিপৎসীমার ২৮৬ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখানে গতদিনের তুলনায় কমেছে পানি। জুড়ী নদীর পানি ভবানীপুর পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৮৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মৌলভীবাজারে বৃষ্টি হয়নি। তাই জেলার মনু, ধলই ও জুড়ী নদীর পানিসহ কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানির প্রবাহ কমেছে। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত হয়নি। সেই সঙ্গে নিম্নাঞ্চল থেকে পানি নামতে শুরু করেছে। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।
সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট এলাকার ভ্যানচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, বৃষ্টি কমে যাওয়ায় মনুর পানি কমেছে। এভাবে কমতে থাকলে আমাদের আর কোনো ভয় নেই। এতে আমাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, যদি ভারী বর্ষণ না হয় তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হবে। পাশাপাশি জেলার নদ-নদীর পানির প্রবাহের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৪
বিবিবি/আরবি