ঢাকা, শনিবার, ০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শিবচরে ছাত্রলীগ নেতার নামে বাইক চুরির অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০২৪
শিবচরে ছাত্রলীগ নেতার নামে বাইক চুরির অভিযোগ

মাদারীপুর: মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম মোল্লার নামে মোটরসাইকেল চুরির ঘটনায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।  

মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) এস এ এম ফরহাদ রাহী মীর অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত সাদ্দাম মোল্লা শিবচর উপজেলার বন্দরখোলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের অছিম বেপারীর কান্দি গ্রামের দলিল উদ্দিন মোল্লার ছেলে।  

দাখিলকৃত অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, গত ১ এপ্রিল মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি টিম শিবচর উপজেলার সন্যাসীরচর ইউনিয়নের শরীফকান্দি এলাকা থেকে চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে চোর চক্রের সদস্য সাইমুন হাওলাদার নামে একজনকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তার সাইমুন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, ‘চোরাই মোটরসাইকেলটি সাদ্দাম মোল্লা ও মাসুম মুন্সী তার কাছে রেখেছেন বিক্রয়ের জন্য। পরে সাইমুনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জেলা গোয়েন্দা শাখার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কাশেম বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলার তদন্ত করেন মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক এস এ এম ফরহাদ রাহী মীর। তিনি ঘটনা তদন্ত করে গত ২৯ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলার অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, আসামি সাদ্দাম মোল্লা অভ্যাসগতভাবে অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারজন চোরের সহায়তায় দেশের বিভিন্নস্থানে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল স্বল্প মূল্যে ক্রয় করে অধিক মূল্যে বিক্রি করতেন।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন, ‘সাদ্দাম মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত পুরাতন মোটরসাইকেলের ব্যবসা করেন। আমিও একটা ইয়ামাহা বাইক কিনেছিলাম। পরে আমি জানতে পারি বাইকটি মূলত কাগজবিহীন। এটা নিয়ে সালিশ মীমাংসাও হয়েছে। ’

এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ হোসেন মাদবর বাংলানিউজকে বলেন, আমরা বিষয়টি শুনেছি। তিনি যেই গাড়িটি বিক্রি করেছেন সেই গাড়িটি (বাইক) আসলে চোরাই। বাইকটি যার কাছে বিক্রি করছেন তাকেও নাকি পুলিশ আটক করেছে এবং তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, তার কাছ (সাদ্দাম মোল্লা) থেকে বাইকটি কিনেছেন। পরে পুলিশ তাকে খুঁজতে গিয়েছিল কিন্তু পায়নি। আমরা যতটুকু জানি তিনি এ ঘটনায় জড়িত। যদি চার্জশিটে তার নাম থাকে তাহলেবিষয়টি নিয়ে সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপ করবো। এ ঘটনায় তিনি জড়িত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবো।

তবে বাইক চুরির ঘটনায় অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়ে কিছুই জানেন না বলে জানান অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম মোল্লা। তিনি বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।